হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পরেরদিনই বিস্ফোরক উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী

হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পরেরদিনই বিস্ফোরক উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী

গতকালই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রিয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। রবিবার রাতে নিজেদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে সেটথা জানিয়েছে ইউনেস্কো। আর তারপর থেকে শুভেচ্ছার বন্যা ভেসে যাচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী সকলেই শুভাচ্ছা বার্তা ভরিয়ে দিয়েছে শান্তিনিকেতনকে। আর ইউনেস্কোর এই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার হিসেবে ঘোষণা করার পরেরদিনই অর্থাৎ আজ ফের বিস্ফোরক বিশ্ব ভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।। প্রাক্তনী থেকে আশ্রমিক ও রাবীন্দ্রিকদেরকে কার্যত ‘জঞ্জাল’ বলে আক্রমণ করলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

আরও পড়ুনঃ অধিবেশনে প্রবেশের আগে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা মোদীর

বিশ্বভারতীর শ্রীনিকেতনে আজ বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছিল শিল্প উৎসব। প্রত্যেক বছরের ন্যায় এই শিল্প উৎসব আজ শিল্প উৎসবের অনুষ্ঠান ছাড়াও ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার ঘোষণার আনন্দ উৎসবে পরিণত হয়েছিল। সেখানেই অংশগ্রহণ করেছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এদিন সেই মঞ্চ থেকেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তনী থেকে আশ্রমিক ও রাবীন্দ্রিকদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বক্তব্যের মাঝে তিনি বলেন , ‘আশ্রমিক প্রাক্তনীরা কার্যত জঞ্জাল। তারা এই কর্মকাণ্ডের জন্য বা এই স্বীকৃতির জন্য কোনও রকম কোনও সহযোগিতা করেননি।’ তিনি বলেন , ‘আশ্রমিক প্রাক্তনীরা কার্যত জঞ্জাল। তারা এই কর্মকাণ্ডের জন্য বা এই স্বীকৃতির জন্য কোনও রকম কোনও সহযোগিতা করেননি।’

 

তোপ দাগেন, ‘উলটে গতকালকেই এই খবর আসার পরই তাঁদের বক্তব্য, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার হিসেবে আদতেও বিশ্বভারতী এই তকমা ধরে রাখতে পারবে কিনা? অর্থাৎ নেগেটিভিটি প্রথম!’ পাশাপাশি তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরও বলেন, এই তকমার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ও সকল বিশ্বভারতীর কর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁদের সাহায্যেই এটা সম্ভব হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে, বিতর্কের মাঝেই বিশ্বভারতী যখন এত বড় একটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার তকমা পেয়েছে তখনই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এমন কথা বলেন কী করে! এই ঘটনায় আবার নতুন করে বিতর্ক ছড়িয়েছে।এই তকমার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ও সকল বিশ্বভারতীর কর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁদের সাহায্যেই এটা সম্ভব হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে, বিতর্কের মাঝেই বিশ্বভারতী যখন এত বড় একটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার তকমা পেয়েছে তখনই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এমন কথা বলেন কী করে! এই ঘটনায় আবার নতুন করে বিতর্ক ছড়িয়েছে।

 

en.wikipedia.org