প্রতি বুথে দিতে হবে আধাসেনা, শুক্রবার আদালতে যাচ্ছেন শুভেন্দু , ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী যথেষ্ট নয়। আরও বাহিনীর দাবিতে শুক্রবার আদালতে যাচ্ছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, গোড়া থেকেই পুলিশ দিয়েই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) করতে চাইছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। কিন্তু, মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই লাগাতার হিংসার ছবিকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। জল গড়িয়েছিল আদালতে। ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশও দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় কমিশন। তবে ধাক্কা খেতে হয় সেখানেও। শেষ পর্যন্ত ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর সিদ্ধান্ত হয়। যদিও তা পর্যাপ্ত নয় ভোটের জন্য। ফের মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তারপরই আরও ৮০০ কোম্পানি নামানোর সিদ্ধান্ত হয়। অর্থাৎ ভোটের ময়দানে রাজ্যে থাকছে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
প্রসঙ্গত, চোপড়া থেকে ভাঙড়, ক্য়ানিং থেকে ইন্দাস, মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্তে দফায় দফায় ছড়িয়েছে অশান্তি। তুমুল উত্তেজনা দেখা গিয়েছে ভাঙড়ে। ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে তৃণমূল ও আইএসএফের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। অসমর্থিত সূত্রে খবর, প্রাক-ভোট হিংসায় এখনও পর্যন্ত বাংলায় মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। এখন দেখার কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে ভোটপর্বে ছবিটা কতটা বদলায়।
আরও পড়ুন – কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার আগেই রাজ্য পুলিশের ৬ কোম্পানি ‘বিশেষ’ বাহিনী নামাচ্ছে নির্বাচন…
যদিও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মনে করছেন প্রতি বুথে মোতায়েনের জন্য ৮২২ কোম্পানিও যথেষ্ট নয়। এ প্রসঙ্গে এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমরা কাল যা করার করব। আমাদের ডিমান্ড সংখ্যা নিয়ে নয়। ২০১৩ সালের মতো সব বুথে আধাসেনা দিতে হবে। কুউক রেসপন্স টিম, আধাসেনা এগুলো সবই তৎকালীন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে লড়াই করে এনেছিলেন। সেটা বর্তমান নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকেও করতে হবে।”