হেলমেট এভাবে পরিষ্কার না করলে মাথার সব চুল উঠে যাবে,পরিষ্কার করলেই হল না, তার সঠিক পদ্ধতিটাও জানা দরকার,

হেলমেট এভাবে পরিষ্কার না করলে মাথার সব চুল উঠে যাবে,পরিষ্কার করলেই হল না, তার সঠিক পদ্ধতিটাও জানা দরকার,

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

হেলমেট এভাবে পরিষ্কার না করলে মাথার সব চুল উঠে যাবে,পরিষ্কার করলেই হল না, তার সঠিক পদ্ধতিটাও জানা দরকার, আপনার কাছে যদি স্কুটার বা বাইক থাকে, তাহলে হেলমেট তো নিশ্চয়ই থাকবে। এখন অনেকে আবার বাইক না থাকলেও হেলমেট কিনে নেন। কারণ, র‌্যাপিডো বা উবর বাইকের মতো বাইক ক্যাব রাইডিংয়ের জন্য অনেকেই নিজের হেলমেট ব্যবহার করেন। হেলমেট কিন্তু আমরা কেউ শখ করে পড়ি না। প্রয়োজন বলেই মাথায় আমাদের ওরকম একটা বোঝা বয়ে বেড়াতে হয়। বাইক রাইডিংয়ের সময় আপনি হেলমেট না পরলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা যেমন থাকে, তার থেকেও বেশি থাকে পুলিশের ধরার ভয়। তাই, অনেককে অনিচ্ছা সত্ত্বেও হেলমেট পরতে হয়। তবে জীবনের এমনতর একটা সুরক্ষাকবচ আপনি যদি সময়ান্তরে পরিষ্কার না করেন, তাহলে কিন্তু আবার আপনার মাথার সব চুল উঠে যেতে পারে। দেখা দিতে পারে বিভিন্ন রোগও। তাই, হেলমেট পরিষ্কার করাটা খুব জরুরি। তার আগে তো এটা জানতে হবে, হেলমেটটা পরিষ্কার করবেন কীভাবে।

 

 

 

হেলমেট পরিষ্কার না থাকলে কী করবেন?

দীর্ঘক্ষণ ধরে হেলমেট পরে থাকলে, তাতে আপনার মাথার ঘাম লেগে যায়। এরপর আপনি সেই হেলমেট খুলে নিলে আপনার মাথার জল শুকিয়ে যাবে ঠিকই, হেলমেটের জলও শুকিয়ে যাবে, কিন্তু হেলমেটে প্রচুর ব্যাকটিরিয়ার বাসস্থান হয়ে উঠবে। এভাবে আপনি যখন প্রতিদিন হেলমেট পরবেন, তখন তাতে আরও বেশি করে ব্যাকটিরিয়া সৃষ্টি হবে। শেষমেশ আপনার মাথার তুলের বারোটা বেজে যাবে। টাক পরতে খুব একটা বেশি সময় লাগবে না।

 

কত বার হেলমেট পরিষ্কার করা দরকার?

হেলমেট যেহেতু আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করি, তাই সেটি প্রায়শই পরিষ্কার করা দরকার। মাসে অন্তত এক থেকে দুবার হেলমেট পরিষ্কার করতেই হবে। পাশাপাশি আপনি হেলমেটে সুগন্ধি স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন তা থেকে বোঁটকা গন্ধ দূর করতে।

 

 

 

হেলমেটের ভাইসর পরিষ্কার করুন

হেলমেটে লাগানো ভাইসর আপনার চোখ, মুখকে ধুলোবালি থেকে রক্ষা করে। এমন পরিস্থিতিতে যদি সেখানে খুব বেশি স্ক্র্যাচ থাকে, তাহলে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই সময়ান্তরে হেলমেটের ভাইসর পরিষ্কার করা খুব জরুরি। যে কোনও হেলমেটের দোকান বা বাইকের দোকানে গেলেই আপনি হেলমেটের ভাইসরটি পরিবর্তন করতে পারবেন। এছাড়া সেই ভাইসর পরিষ্কার রাখতে পারেন হাল্কা গরম জল এবং সাবানের সাহায্যে।

তারপর হেলমেটের ভিতরের প্যাডটি ডিপ ক্লিন করুন

আপনি যদি চুলের জন্য কোনও রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার করেন, তাহলে অনেক সময় রাসায়নিক পদার্থটি ঘাম ও চুলের সঙ্গে মিশে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে। এটি হেলমেটকে চরম অস্বাস্থ্যকরও করে তোলে। তাই, হেলমেটের ভিতরের প্যাডটি খুব ভাল করে পরিষ্কার করা দরকার। অনেক হেলমেটের ভিতরে অপসারণযোগ্য প্যাড থাকে, কিছু হেলমেটে আবার প্যাড থাকলেও তা অপসারণযোগ্য নয়।

হেলমেটের ভিতরের প্যাডটি যদি অপসারণ করা যায়, তাহলে তা পরিষ্কার করার কাজটি খুব সহজ হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে হেলমেট থেকে প্যাড এবং তার আস্তরণটি বের করে নিন। তারপর 30 মিনিটের জন্য বেবি শ্যাম্পুর দ্রবণে ভিজিয়ে রাখুন। এবার জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিয়ে রোদে শুকোতে দিন।

এখন যদি হেলমেটের ভিতরের আস্তরণ সরাতে না পারেন, তাহলে বেবি শ্যাম্পুর দ্রবণে হেলমেটটিকে 15-20 মিনিটের জন্য চুবিয়ে রাখুন। তারপর তাতে আঙুল দিয়ে আলতো করে ময়লাগুলি বের করে নিন। এবার পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকোতে দিন।

সবশেষে বাফিং এবং পলিশিং

যে দিন হেলমেটটা প্রথম কিনেছিলেন, সেই দিনের মতোই যদি আজকের পুরনো হেলমেটের রূপ দিতে চান, তাহলে আপনাকে ভাল করে বাফিং এবং পলিশিংও করতে হবে। তার জন্য হেলমেটের এক্কেবারে বাইরের অংশটা বেবি শ্যাম্পুর দ্রবণ দিয়ে ধুয়ে নিন এবং একটি নরম স্পঞ্জ বা তুলোর টুকরো দিয়ে ধুলো এবং দাগ-ছোপ দূর করতে পারেন। এভাবে পরিষ্কার করার পর হেলমেটটি শুকিয়ে গেলে সেটিকে নতুনের মতো উজ্জ্বল করতে কার ওয়্যাক্স বা গাড়ির মোম দিয়ে পালিশ করুন।

 

 

আরও পড়ুন –  শ্রাবন্তী রোশনের থেকে কত চান ? নায়িকার খোরপোশের মামলায় স্থগিতাদেশ আদালতের,

 

 

মাথায় ধুলোবালি এবং ঘামের কারণে হেলমেটে অনেক ধরনের ব্যাকটিরিয়া জন্মাতে পারে। তারপর যদি আবার একটা হেলমেট অনেকে পরে, তাহলে তো সমস্যাটা আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। তার থেকেও বড় কথাটা হল, একটা মানুষকে দিনে অনেকক্ষণ হেলমেট পরে থাকতে হয়। তাই, প্রতিদিন হেলমেট পরিষ্কার করাটা খুব জরুরি। অনেকেই জানেন না যে, হেলমেট ধোয়া যেতে পারে। হেলমেট পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলি যদি অক্ষরে-অক্ষরে পালন করা যায়, তাহলে জীবনে যতদিন খুশি হেলমেট পরুন, কখনও টাক পড়ার চিন্তায় থাকতে হবে না আপনাকে।

 

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top