গ্রাফ পেপারের প্রয়োজন নেই, উত্তর সঠিক হলেই মিলবে পুরো নম্বর, জানালেন পর্ষদ, অঙ্কের প্রশ্নপত্রে লেখা ছিল, গ্রাফ পেপার দেওয়া হবে। তার পরেও পরীক্ষার্থীদের কোনও গ্রাফ পেপার দেওয়া হয়নি। এ নিয়েই বিভ্রান্তি তৈরি হল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। মধ্য শিক্ষা পর্ষদ যদিও এই বিভ্রান্তির কথা মানেনি। তারা চিঠি দিয়ে বিষয়টির ব্যাখা দিয়েছে। জানিয়েছে, খাতাতেই করতে হবে গ্রাফের কাজ। পর্ষদের সভাপতি জানিয়েছেন, পরীক্ষার্থীরা সঠিক উত্তর দিলে অবশ্যই নম্বর পাবে। এ নিয়ে ডেপুটি সেক্রেটারির কাছে রিপোর্ট তলব করলেও জানিয়েছেন, গত তিন বছর ধরেই আলাদা করে গ্রাফ পেপার দেওয়া হয় না।
মাধ্যমিকে প্রতি বারই অঙ্ক পরীক্ষার আগের দিন ছুটি থাকে। কিন্তু এ বছর তা ছিল না। তা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। সাগরদিঘিতে ২৭ ফেব্রুয়ারি ছিল উপনির্বাচন। সে কারণে এক বছর আগের নির্ধারিত মাধ্যমিক পরীক্ষার সূচিতে বদল করা হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারির ইতিহাস পরীক্ষা হয় ১ মার্চ। ফলে অঙ্ক পরীক্ষার আগের দিন ছুটি না পেয়ে কিছু পরীক্ষার্থী অসন্তোষ প্রকাশ করে। যদিও এ বছর মাধ্যমিকে কোনও বিষয়ের প্রশ্নপত্র নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কোনও অসন্তোষ তৈরি হয়নি।
বৃহস্পতিবার ছিল মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষা। তার প্রশ্নপত্র নিয়েই বিভ্রান্তি তৈরি হয়। ১৫-এর ২ নম্বর প্রশ্নে স্পষ্ট লেখা ছিল, সমীকরণের সমাধানের জন্য গ্রাফ পেপার দেওয়া হবে। যদিও তা দেওয়া হয়নি। এতে ভয় পেয়ে যায় পরীক্ষার্থীরা। তার পরেই পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ একটি চিঠি প্রকাশ করে। তাতে সই রয়েছে ডেপুটি সচিব (পরীক্ষা) মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই চিঠিতে জানানো হয়েছে, অঙ্ক পরীক্ষায় ১৫-র ২ নম্বরের উত্তর লেখার জন্য আলাদা কোনও গ্রাফ পেপার দেয়নি বোর্ড। গত কয়েক বছর ধরেই দেওয়া হচ্ছে না। উত্তরপত্রেই পরীক্ষার্থীদের আঁকতে হবে। আলাদা গ্রাফ পেপারে আঁকার প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন – হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে তিনজনই বেকসুর খালাস করল আদালত
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘পরীক্ষার্থী যদি খাতায় সঠিক উত্তর লেখে, তা হলে সে গ্রাফ আঁকলেও নম্বর পাবে, না আঁকলেও নম্বর পাবে।’’ তাঁর এই বক্তব্যের পরেও প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, প্রশ্নপত্রে গ্রাফ দেওয়া হবে, লেখার পরেও কেন দেওয়া হল না? রামানুজ জানিয়েছেন যে, গত তিন বছর ধরে গ্রাফ পেপার দেওয়া হয় না। যদিও উপপরীক্ষা সচিবের কাছে এই নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি।