টিকি নেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর, প্রধান বিচারপতির ‘দুয়ারে’ শুভেন্দুরা, কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মামলা করেছেন কংগ্রেস নেতা আবু হাসেম খান চৌধুরীও। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। কিন্তু অভিযোগ, কমিশন সেই নির্দেশ মানেনি। সেক্ষেত্রে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, আদালতের নির্দেশ ছিল মনোনয়নপত্র জমা থেকে কাউন্টিং , গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে এবং সিসিটিভি বসাতে হবে। সেই নির্দেশও পালন হয় নি বলে অভিযোগ। কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করার অনুমতি দিলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ।
গত শুনানিতেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য সওয়াল করা হয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তার জন্য অন্যান্য রাজ্য থেকে ১৫ ব্যাটেলিয়ন পুলিশ কর্মী চাওয়া হয়েছে।
কিন্তু মনোনয়ন জমার সময়ে হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়নি বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। এমনকি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার একেবারে প্রাথমিক ধাপেই গত ১০ দিনে রাজ্যে ৭টি খুনের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। গোটা বিষয়টিতে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিরোধীরা। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
মনোনয়ন জমা ঘিরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর আসতে শুরু করে। বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টের নজরে আনেন বিরোধীরা। রাজ্যের একাধিক জায়গায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কোন কোন জেলাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে, কোন কোন এলাকা স্পর্শকাতর, তা নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি ছড়ায়।
আরও পড়ুন – ‘পিসরুমে’ যুদ্ধকালীন তৎপরতা চলছে, ভূরি ভূরি অভিযোগ আছড়ে পড়ছে রাজভবনে,কি বলছেন রাজ্যপাল…
মূলত, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি ও জলপাইগুড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়। আদালতের নির্দেশ ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কমিশন রাজ্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে। সেই মোতাবেক বাহিনী পাঠাবে কেন্দ্র।