ভোটের মুখে অধীরের প্রশংসা তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের , বললেন ‘কংগ্রেসে যা মর্যাদা পেতাম, এখানে তার ধারে কাছে নেই’। মনোনয়ন পর্বে তাঁর অনুগামীদের একাংশ প্রার্থী হতে পারেননি। এই নিয়ে ক্ষোভ আগেই উগরে দিয়েছিলেন। এমনকী বিধায়ক হওয়া সত্বেও সেই সম্মানটুকু মিলছে না বলেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এরপর মঙ্গলবার বিক্ষুব্ধ সেই বিধায়কই উস্কে দিলেন দলবদলের জল্পনা। শুধু তাই নয় তাঁর মুখে শোনা গেল কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরীর সুনামও।
কী বলেছেন হুমায়ুন?
বিধায়কের বক্তব্য, “২০০১ সালে ৩০ শে জুলাই অধীর চৌধুরী অতীশ চন্দ্র সিনহা জেলা সভাপতিকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে নিজের জেলার সভাপতি হন। তখন থেকে আমাদের জেলা কমিটিতে রেখেছিলেন সেক্রেটারি হিসাবে। একই সঙ্গে জেনারেল সেক্রেটারির দায়িত্বে ছিলাম। সেই সময় অধীরবাবুর নেতৃত্বে অনেক পোস্ট সামলেছি। উনি সাংগঠনিক দিক থেকে আমাদের যে মর্যাদা-স্বীকৃতি দিতেন তা এখানে ধারের কাছে নেই।”
দলবদল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, “রাজনীতিতে তো শেষ কথা বলে কিছু হয় না। আপানারা কেউ ভেবেছিলেন পাটনাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে বসে রাহুল গান্ধী বৈঠক করবেন?তাই রাজনীতিতে সব হয়। দেশের স্বার্থে ১৫টি দল মিটিংয়ে বলেছিল। তাই এখানে শেষ কথা বলে কিছু হয় না। আমি বলছি স্বেচ্ছায় তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ব না। যতক্ষণ দল আমাকে ভোটাধিকার দিতে দেবে ততক্ষণ আমি তৃণমূল ছাড়ব না। কিন্তু দল যদি মনে করে যা খুশি করবে, তার প্রতিবাদ করব।”
উল্লেখ্য,শুধু হুমায়ুন একা নয়,প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন হুগলির বলাগড়ের বিধায় মনোরঞ্জন ব্যাপারীও।তাঁর অনুগামীদের প্রার্থী করা হয়নি বলেও ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি।এমনকী সময় এলে দলছাড়ার বার্তাও দেন।
আরও পড়ুন – ভোটের ১২ দিন আগে কোন জেলায়, কত কোম্পানির কেদ্রীয় বাহিনী এল, দেখে…
আজ বিক্ষুব্ধদের নিয়ে একটি সভা করার কথা ছিল হুমায়ুন কবীর ও মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখের।কিন্তু একই দিনে যেহেতু তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শো রয়েছে।সেই কারণে দলের উচ্চ-নেতৃত্বের অনুরোধে সেই সভা বাতিল করেন হুমায়ুন।পরে যদিও সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষোভ উগরে দেন জেলা সভানেত্রী শাওনী সিংহরায়ের উপর।শুধু তাই নয়,এক সাক্ষাৎকারে সাফ জানালেন দলে তিনি যথাযোগ্য সম্মান পাচ্ছেন না।