বিল পাশ! সই করেননি রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার দাবিতে শহরের একাধিক জায়গায় পড়লো হোর্ডিং

বিল পাশ! সই করেননি রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার দাবিতে শহরের একাধিক জায়গায় পড়লো হোর্ডিং

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

বিল পাশ! সই করেননি রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার দাবিতে শহরের একাধিক জায়গায় পড়লো হোর্ডিং , একদিকে আচার্য বিলের ক্ষেত্রে অর্ডিন্যান্স আনার কথা বলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করতে সই সংগ্রহের কাজ শুরু করল তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ‘ওয়েবকুপা’ (WBCUPA)। বুধবার থেকেই শহরের রাস্তায় রাস্তায় লাগানো হয়েছে হোর্ডিং, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার দাবি জানানো হয়েছে। এই ইস্যুতেই রাজ্যপালের সঙ্গেও সংঘাত ক্রমশ বাড়ছে রাজ্যের। জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীন আচার্য বিল পাশ হয় বিধানসভায়। কিন্তু, সেই বিলে সই করেননি রাজ্যপাল। সিভি আনন্দ বোস রাজ্যপাল হওয়ার পরও সেই আচার্য বিলে সই হয়নি। তাই এবার অর্ডিন্যান্স আনতে চাইছে তৃণমূল।

 

 

 

 

শিক্ষামন্ত্রী আগেই বলেছেন, ‘আচার্য বিল অনন্তকাল ধরে আটকে রাখা যায় না।’ মুখ্যমন্ত্রীও বুধবার এই বিল সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘জরুরি বিষয়ে অর্ডিন্যান্স আনাই যায়। পরের অধিবেশনে সেটা পাশ করিয়ে নেওয়া হয়।’

 

 

 

 

এদিকে, রাজ্যপাল একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে চলেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি আচমকাই পৌঁছে গিয়েছেন সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এর আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ও পরিদর্শন করেছেন তিনি।

 

 

 

তবে বিজেপির দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করলে শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব বাড়বে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, ‘যাতে রাজনৈতিক নির্দেশ প্রতিপালিত হয় সেটারই চেষ্টা চলছে।’ অন্যদিকে, তৃণমূলের পাল্টা যুক্তি, প্রধানমন্ত্রী আচার্য হলে মুখ্যমন্ত্রী হবেন না কেন!

 

 

 

আরও পড়ুন –   ফের বঙ্গসফরে অমিত শাহ, রবীন্দ্র জয়ন্তীতে যাবেন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতেও

 

 

 

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বারবার বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীই আচার্য হবেন। আর এবার আসরে নেমেছে শাসক দলের সংগঠন ওয়েবকুপা। সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হচ্ছে। কলকাতার দক্ষিণ থেকে উত্তর, একাধিক জায়গায় হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে এই দাবিতে।

 

 

 

 

 

ওয়েবকুপা-র তরফে কৃষ্ণকলি বসু বলেন, ‘ব্রিটিশ আমলের আইন পরিবর্তন করার সময় এসেছে। উপাচার্যের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন হয়েছে, এখন শিক্ষাবিদরা সেই পদে যেতে পারেন। বিশ্বভারতীর আচার্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৩ সালে গুজরাটেও আচার্য পদে রাজ্যপালের সব ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাহলে বাংলায় কেন হবে না?’ স্বাধীন ভারতে পরাধীন ভারতের একটি নিয়ম চলতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top