বজ্রবিদ্যুৎ-সহ শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা এই জেলাগুলিতে, ভিজবে তিলোত্তমাও ,বিগত কয়েকদিন ধরেই বিকালের পর কালবৈশাখীর (Kalboisakhi) দাপট দেখা যাচ্ছে গোটা বাংলায়। গত বুধ, বৃহস্পতিবারও কালবৈশাখীর দাপট দেখতে পাওয়া গিয়েছে কলকাতা-সহ (Kolkata) পার্শ্ববর্তী জেলায়। এদিনও সন্ধ্যার মধ্যে ঝড়ের দাপট দেখা যেতে পারে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) একাধিক জেলায়। বিশেষ করে ওড়িশা লাগোয়া জেলাগুলিতে ঝড়ের দাপট বেশি থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। সঙ্গে চলবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। বেশি বৃষ্টি হতে পারে দুই মেদনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমানে। সন্ধ্যার দিকে কলকাতাতেও ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়া, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকছে একাধিক জেলায়।
অন্যদিকে কেরলে ১ জুনের পরিবর্তে ৪ জুন খাতায়-কলমে বর্ষা প্রবেশের ইঙ্গিত থাকলেও ইতিমধ্যেই আবার আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশের পথ প্রশস্ত হয়েছে বর্ষার। ধীরে ধীরে পা রাখতে শুরু করেছে মৌসুমী বায়ু। তবে দেশের মূল ভূখণ্ডে পা রাখতে আরও বেশ কিছুটা সময় লাগবে। এদিকে কলকাতায় বৃহস্পতিবার রাতের দিকে বৃষ্টি হওয়ায় ভোরের তাপমাত্রা অনেকটা কমে যায়। সে কারণে সকালের দিকে মনোরম পরিবেশ থাকলেও এদিন বেলা বাড়লে গরম ও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বেড়েছে। সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ ডিগ্রি। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৫২ থেকে ৯৮ শতাংশের আশপাশে।
আরও পড়ুন – এগরার আইসি বদল,এগরার বিস্ফোরণে IC-র ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন খোদ মমতা
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, শনিবার থেকে ফের বেশ খানিকটা বাড়বে রাজ্যের তাপমাত্রা। কলকাতার পর সবথেকে বেশি তাপমাত্রা বাড়বে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। তবে শনি ও রবিবার ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা কিছুটা কম থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। আবার ২৩ তারিখ থেকে ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা বেশ খানিকটা বেড়ে যাবে। তবে আগামী কয়েকদিনে ভিজবে উত্তরবঙ্গও। বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে। বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রার বিশেষ কোনও পরিবর্তন হবে না।