গরম আরও বাড়বে ! তাপপ্রবাহ নিয়ে বিশেষ গাইডলাইন জারি নবান্নের, বৈশাখ এখনও আসেনি। কিন্তু তার আগেই গরমের চোটে নাজেহাল বঙ্গবাসী। এই আবহে আগামী কয়েকদিনেও স্বস্তির কোনও আশ্বাস দিল না আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। উল্টে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পয়লা বৈশাখ অবধি সারা বাংলাজুড়েই চলবে তীব্র তাপপ্রবাহ। কালবৈশাখীরও সেরকম সম্ভাবনা নেই। আজ, বুধবারই কলকাতা শহরের তাপমাত্রা ৩৯-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর। গতকাল, মঙ্গলবার সর্বাধিক তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৬ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৩ ডিগ্রি বেশি ছিল। এই পরিস্থিতিতে চিন্তায় সাধারণ মানুষ থেকে চিকিৎসক সকলেই। কারণ এখনও পুরো গ্রীষ্মকালটাই পড়ে রয়েছে। শুরুতেই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে মে-জুন মাসে পরিস্থিতি কী হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে রাজ্যবাসীদের কপালেই।
আজ, এই নিয়ে একটি বিশেষ গাইডলাইনও জারি করা হয়েছে নবান্নের তরফে। বিশেষ এই গাইডলাইনে তাপপ্রবাহ সম্পর্কিত একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, তৃষ্ণার্ত বোধ না করলেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর জলপান করতে। সকালে বা দুপুরে বাড়ির বাইরে বের হওয়ার সময় হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরতে। মাথায় সর্বদা টুপি বা কাপড় ঢেকে বেরতে কিংবা ছাতা ব্যবহার করতে। হালকা খাবার বা জলীয় অংশ বেশি রয়েছে এমন খাবার খেতে। বাড়িতে তৈরি লেবুজল ও সরবত পান করতে। সকাল ও বিকালের দিকে কৃষিকাজ করতে এবং পোষ্যদের ঠান্ডা জায়গায় রাখতে। এছাড়াও এই পরিস্থিতিতে কী কী করণীয় নয় তাও বলা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া প্রখর সূর্যালোকে না বেরতে। তীব্র রোদে বেশি পরিশ্রমসাধ্য কাজ না করতে। বেশি প্রোটিনযুক্ত ও মশলাদার খাবার না খেতে। বন্ধ গাড়িতে পোষ্য কিংবা বাচ্চাদের না রেখে যেতে। পাশাপাশি কারও হিট স্ট্রোক হলে পার্শ্ববর্তী মানুষদের কী করা উচিত সেই বিষয়েও বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তিকে অপেক্ষাকৃত শীতল ও ছায়াযুক্ত স্থানে নিয়ে যেতে হবে। ভিজে কাপড়ে তার সারা গা মুছিয়ে দিতে হবে। জ্ঞান ফিরলে লেবুজল, নুন-চিনির জল কিংবা ওআরএস পান করাতে হবে। তারপরও পরিস্থিতি ঠিক না হলে তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র কিংবা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ রয়েছে ওই গাইডলাইনে।
আরও পড়ুন – ছুটি আর ছুটি!চার সপ্তাহে ১২ দিন,চার সপ্তাহে লম্বা ছুটির সুযোগ