প্যাচপ্যাচে ঘাম থেকে নিস্তার এখনই নয় , তবে গোটা বাংলায় ঢুকে পড়ল বর্ষা, উত্তরবঙ্গে অনেকদিন আগেই বর্ষা ঢুকে গিয়েছিল। কিন্তু দক্ষিণে ঢুকতে বেশ কিছুটা সময় লেগে গিয়েছিল। মালদা পর্যন্ত এসে কিছুদিন থমকে ছিল বর্ষা। শেষে অনুকূল পরিস্থিতি পেয়ে ১৯ জুন থেকে একটু একটু করে দক্ষিণবঙ্গের দিকে এগোতে শুরু করেছিল। তারপরও পশ্চিমের বেশ কিছু জেলায় বর্ষা ঢুকতে বাকি ছিল। আজ গোটা বাংলার আকাশ ঢেকে গেল বর্ষার চাদরে। রাজ্যবাসীকে স্বস্তি দিয়ে, ২৩ জুন (শুক্রবার) গোটা রাজ্যে বর্ষা ছড়িয়ে পড়ল। পুরো দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগল প্রায় চার দিন।
শুধু কলকাতা ও শহরতলিতেই নয়, গোটা দক্ষিণবঙ্গেই আজ ও কাল বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে মুশলধারে বৃষ্টি এখনই নয়। রবি বা সোমবার থেকে দক্ষিণের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়বে। গরম থেকেও কিছুটা নিস্তার মিলবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। রবিবারের মধ্যে প্রায় ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে তাপমাত্রার পারদ। গরম কমলেও প্যাচপ্যাচে ঘাম থেকে এখনই নিস্তার পাচ্ছেন না দক্ষিণের জেলাগুলি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, তাপমাত্রা কমলেও, বৃষ্টি হলেও, এই ক’দিন আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি একইরকম ভোগাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে। হাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, যতক্ষণ না মুষলধারে টানা বৃষ্টি হচ্ছে, ততক্ষণ এই অস্বস্তি থেকে যাবে দক্ষিণের জেলাগুলিতে।
এদিকে দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ উত্তরের জেলাগুলিতে গত কয়েকদিনে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। তবে আজ থেকে পরিস্থিতি কিছুটা বদলাবে। বৃষ্টি কিছুটা কমবে। তবে উত্তরের সব জেলাতেই কোথাও হালকা, কোথাও মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে। উত্তরের দুই পাহাড়ি জেলাতে অবশ্য আগামী ২৪ ঘণ্টায় কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
আরও পড়ুন – কমিশনের কাছে হলফনামা তলব হাইকোর্টের,
আজ বেলার দিকেও শহর ও শহরতলির বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই বিক্ষিপ্তভাবে এমন বৃষ্টি চলছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে। আগামী কয়েকদিনও এরকমই থাকবে আকাশ। বৃষ্টিও হবে। তবে আপাতত কলকাতা ও শহরতলিতে ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে সপ্তাহান্তে পরিস্থিতি বদলাতে পারে। রবিবার ও সোমবার থেকে কলকাতা ও আশপাশের এলাকাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।