লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গে মমতা বললেন ‘তৃণমূলকে জেতান, না-হলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কে দেবে!’,

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গে মমতা বললেন ‘তৃণমূলকে জেতান, না-হলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কে দেবে!’,

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গে মমতা বললেন ‘তৃণমূলকে জেতান, না-হলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কে দেবে!’, ‘তৃণমূল কংগ্রেসকে জেতান, না তো লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কে দেবে আপনাকে?’ কাকদ্বীপের (Kakdwip) সভা থেকে বললেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুধু তাই নয়, মমতা আরও বললেন, ‘স্বাস্থ্যসাথী কে দেবে পঞ্চায়েতগুলো না জিতলে? রাস্তা কে করবে? চাল বাড়িতে কে পৌঁছে দেবে? আমফান হলে উদ্ধার করে ত্রাণশিবিরে কে নিয়ে আসবে? কন্যাশ্রী-শিক্ষাশ্রী-ঐক্যশ্রীর ছেলে-মেয়েরা কোথায় যাবে? পেনশন হোল্ডাররা কোথায় যাবেন? স্বাস্থ্যসাথী কোথায় যাবে? পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেস জিতলে আমাদের হাত, মানে জোড়াফুলের হাত শক্তিশালী হবে।’

 

 

 

 

 

উল্লেখ্য, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প হল রাজ্যের মহিলাদের স্বনির্ভর করতে একটি সরকারি উদ্যোগ। প্রতি মাসে রাজ্যের মহিলাদের ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয় এই প্রকল্পের আওতায়। আর তফসিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের জন্য মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়ে থাকে।

 

 

যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে প্রকল্পের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে, সেই কথাও এদিন শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। বললেন, ‘কিছু কিছু লোক (কাজ) করে না। তাদের জন্য এবার আমরা নতুন সিস্টেম করছি। আমরা নিজেরা নজরদারি করব। আমি নিজেও দেখি।’

 

 

 

 

পঞ্চায়েত ভোটের মুখে কাকদ্বীপের সভা থেকে মমতার প্রতিশ্রুতি, যেখানে যা কাজ বাকি আছে, সেগুলিও করে দেওয়া হবে আগামী দিনে। বললেন, ‘যেটুকু বাকি আছে, আমার উপর ছেড়ে দিন। আমি করে দেব। যদি কেউ কোথাও কিছু না পেয়ে থাকেন, তাঁরা আমাকে সরাসরি জানাবেন। আমি নিজে প্রতি সপ্তাহে দেখে নিই, কার কী প্রয়োজন আছে।’ উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রাজ্যের আমজনতার সমস্যা, অভাব-অভিযোগের কথা জানানোর জন্য ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ বলে একটি সরকারি কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। একটি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। সেই নম্বর ফোন করে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে নিজের সমস্যার কথা জানাতে পারেন রাজ্যবাসী। আজ প্রকল্পের নাম উল্লেখ না করলেও, সেই উদ্যোগের কথাই আবারও স্মরণ করিয়ে দিলেন মমতা।

 

 

 

 

আরও পড়ুন – এর আগে এত শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন কখনও হয়নি ভাঙড়ের দায় বিরোধীদের উপরেই চাপালেন…

 

 

 

 

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির আজ শেষ দিন। কাকদ্বীপে এক মঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মঞ্চ থেকেই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে জেতাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, ঐক্যশ্রীর মতো সরকারি প্রকল্পগুলির কথা টেনে আনেন তিনি। রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশের ব্যাখ্যা, তৃণমূল সুপ্রিমো যেন বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, এই প্রকল্পগুলির সুবিধা পেতে থাকতে হলে, তৃণমূলকে পঞ্চায়েতে জেতাতেই হবে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top