‘ক্যায়া নন্দলাল, চুপ কিউ হ্যায়’,কুস্তিগীরদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ঝাঁজ বাড়াচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, প্রতিবাদী কুস্তিগীরদের সমর্থনে গোষ্ঠপাল মূর্তির পাদদেশ থেকে গান্ধীমূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মোমবাতি মিছিলে পা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে হাঁটলেন রাজ্যের ক্রীড়াজগতের বিশিষ্ট জনেরা। এদিন গোষ্ঠপালের মূর্তির পাদদেশ থেকে মোমবাতি মিছিল শুরুর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ফের একদফা আক্রমণের সুর চড়ালেন মমতা। কুস্তিগীরদের সঙ্গে যে ধরণের ব্যবহার করা হচ্ছে সেই প্রসঙ্গ টেনে বললেন, ‘আমি দেশের নাগরিক হিসেবে লজ্জিত। ওয়ার্ল্ড রেসলার্স অর্গানাইজ়েশন বলছে, এরকম চলতে থাকলে ভারতের লাইসেন্স বাতিল করে দেবে।’
এদিন গোষ্ঠপালের মূর্তির পাদদেশ থেকে বিজেপিকে একহাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘প্রতিটি খেলার মাথায় কোনও না কোনও নেতাকে জোর করে চাপিয়ে দিচ্ছে বিজেপি। যাঁরা উপযুক্ত খেলোয়াড়, তাঁদের খেলতেও দিচ্ছে না। আমি চাই গোটা দেশের যত ক্রীড়াবিদ রয়েছেন, যত শুভাকাঙ্খী রয়েছেন, আপনারা সকলে এর প্রতিবাদ করুন।’
মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘খেলোয়াড়দের কমিউনিটি ছোট নয়। এটাও একটা বড় কমিউনিটি, এটা বুঝতে হবে। কুস্তিগীররা যাঁরা লড়াই করছেন দীর্ঘদিন ধরে, তাঁদের সকলকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। অনেক কষ্ট সহ্য করে, দেশের জন্য লড়াই করতে গিয়ে তাঁদের অনেক ঘাম ঝড়েছে। অনেক পরিশ্রম করেছে। অনেকে হয়ত ঠিকঠাক খেতেও পায় না।‘ মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘এরা খুব গরিব ঘর থেকে আসে। তাঁদের মধ্যে যে জেদ থাকে, তা চমকের মধ্যে পাওয়া যায় না। জেদটা মাটির মধ্যেই থাকে।‘
আরও পড়ুন – শরীরে জলের ঘাটতির জন্য যে ৫ পানীয় দায়ী ,
ওয়ার্ল্ড রেসলার্স অর্গানাইজ়েশন ভারতের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়ার যে আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রী শুনেছেন, সেই প্রসঙ্গ টেনে বললেন, ‘একে তো হয় না। আর যখন হয়, তখন আপনারা খালি ছবি তোলেন। যেন বিজেপির দুধ খেয়ে এরা খেলোয়াড় হয়েছেন। আর যখন এরা রাস্তায় থাকে, তখন পুলিশ দিয়ে অত্যাচার চালানো হয়। আমি তো পুলিশের দোষ দেখছি না, আমি দোষ দেখছি প্রশাসনের।‘ কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘ক্যায়া নন্দলাল, চুপ কিউ হ্যায় আপ লোগ!’