বিধানসভার অধিবেশন শুরু ,রাজ্যপালের অনুমোদনে কাটল জট

বিধানসভার অধিবেশন শুরু ,রাজ্যপালের অনুমোদনে কাটল জট, গতকাল একুশে জুলাইয়ের মঞ্চেই বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে কথা হয়েছে অধিবেশনের বিষয়টি নিয়ে। শোভনদেবকে স্পিকার জানান, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। বলেন, রাজ্যপাল চান পরিষদীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে একবার কথা বলতে।নানা জটিলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত ২৪ জুলাই থেকেই শুরু হচ্ছে বিধানসভার বাদল অধিবেশন। জানা যাচ্ছে, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। কথা হয়েছে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। অধ্যক্ষ ও পরিষদীয় মন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের কথার পর শেষ পর্যন্ত জট কাটল। ২৪ জুলাই থেকেই হবে বিধানসভার বাদল অধিবেশন। এদিকে ২৪ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকও রয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, ওই দিনের মন্ত্রিসভার বৈঠক নবান্নেই হতে চলেছে।

 

 

 

 

 

 

পরিষদীয় মন্ত্রী তখন রাজ্যপালকে জানান, এবারের বিধানসভা অধিবেশনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল আসতে চলেছে। সেই কারণেই এই ব্যস্ততা রাজ্য সরকারের। পরিষদীয় মন্ত্রীর থেকে সেই কথা শোনার পর গতরাতেই রাজ্যপাল অধিবেশনের জন্য সমনে সই করে দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। শনিবার দুপুরেই বিধানসভার অধিবেশনে অনুমোদন দিয়ে রাজ্যপালের সেই সমন বিধানসভায় এসে পৌঁছেছে জানা যাচ্ছে। ফলে আগামী সোমবার থেকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা থাকছে না।

 

 

 

 

 

উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্যপাল বাদল অধিবেশন তড়িঘড়ি ডাকার কারণ জানতে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়কে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন তিনি শহরের বাইরে থাকায় রাজভবনে যেতে পারেননি। এবার রাজ্যপালের সঙ্গে শোভনদেবের কথা হওয়ার পর সেই জট কাটল।

 

 

 

আরও পড়ুন –  মঙ্গলাহাটে কী করে লাগল আগুন? মন্ত্রীকে নিয়ে ৫ সদস্যের বিশেষ তদন্ত কমিটি…

 

 

 

 

জানা যাচ্ছে, গতকাল একুশে জুলাইয়ের মঞ্চেই বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে কথা হয়েছে অধিবেশনের বিষয়টি নিয়ে। শোভনদেবকে স্পিকার জানান, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। বলেন, রাজ্যপাল চান পরিষদীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে একবার কথা বলতে। এরপর রাজ্যপালের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয় পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের। রাজ্যপাল তাঁকে জানান, এক্ষেত্রে কোথাও কোনও ভুল বোঝাবুঝির বিষয় নেই। রাজ্যপাল শুধু জানতে চাইছেন, কেন এত তাড়াহুড়ো করছে রাজ্য সরকার?