শুভেন্দুর ‘শিক্ষা, রুচি’ নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুভাপ্রসন্নর, রাজনীতিতে বিরোধীদের ভূমিকা নিয়ে বলতে গিয়ে এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সমালোচনায় সরব শিল্পী শুভাপ্রসন্ন (Shubhaprasanna)। মুখে নাম না নিলেও এদিন কথায় বারবারই বিরোধী নেতা শব্দের ব্যবহার তিনি করেছেন। শিল্পী শুভাপ্রসন্নর কথায়, যে শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি চিনতেন, সেই শুভেন্দুর এখন আমূল বদল হয়েছে। শুভাপ্রসন্নর কথায়, “বিরোধী দলে গিয়ে সাপের পাঁচ পা দেখেছেন শুভেন্দু।” এদিন শুভাপ্রসন্ন বলেন, “যে কোনও গণতন্ত্রে বিরোধীদের একটা বিরাট ভূমিকা আছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা। আমাদের বিধানসভাতেও বিরোধীদের সম্মান দেওয়া, সবার আগে তাঁদের কথা শোনা, এটাই নিয়ম।”
প্রসঙ্গত, এদিন শুভাপ্রসন্ন রাজ্যে হিংসার ভোট নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁকে এমনও বলতে শোনা যায়, এই সংস্কৃতির বদল প্রয়োজন। এভাবে মানুষের মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। ভারতের কোনও রাজ্যে এমন পঞ্চায়েত ভোট দেখা যায়নি।
শুভাপ্রসন্নকে শুভেন্দু অধিকারীর প্রবল সমালোচনা করে বলতে শোনা যায়, “দুর্ভাগ্য আমাদের দেশে, আমাদের পশ্চিমবঙ্গে, যে বিরোধী নেতা দেখতে পাই তাঁর শিক্ষা, রুচি, ব্যবহার অত্যন্ত ঘৃণ্য। বলতে লজ্জা লাগে, ধোপধূরস্ত হয়ে কীভাবে মানুষকে প্ররোচিত করেন হিংসা ছড়াবার চেষ্টা করেন। আমি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে দেখেছি, মমতার সঙ্গে যতবার নন্দীগ্রামে গিয়েছি, ও আমাদের সঙ্গে থাকত। ভদ্র ব্যবহার করত। কিন্তু হঠাৎ বিরোধী পক্ষ হয়ে সে যে কী সাপের পাঁচ পা দেখতে শুরু করল কে জানে। যে বাক্য ব্য়বহার করে, ইংরাজি শব্দ ভুল ব্যবহার করে।”
আরও পড়ুন – রাষ্ট্রপতি শাসন চাইছেন না শুভেন্দু পরিবর্তে তিনি কি দাবি করলেন ?
শুভাপ্রসন্নর এই বক্তব্য নিয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “শুভাপ্রসন্নবাবুর অবস্থান কোথায় সেটা আমাদের জানা নেই। পশ্চিমবঙ্গের মানুষও জানেন না। আজ প্রথম তিনি গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলছেন, আগে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। দেরিতে হলেও তাঁর বোধোদয় হয়েছে। আবার সেটাকে ব্যালেন্স করার জন্য তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে বেনজির আক্রমণ করছেন। এসব মধ্যপন্থা।”