‘যাদবপুরে রাতের অন্ধকারে মাদক পাচার হত’, বললেন শুভেন্দু। যাদবপুরের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার উত্তাল হল বিধানসভা। বিজেপির তরফে এদিন বিধানসভায় যাদবপুর ইস্য়ুতে মুলতুবি প্রস্তাব আনা হয়েছিল। সেই প্রস্তাবে বক্তব্য রাখার সময়, যাদবপুরের পরিস্থিতি নিয়ে ঝাঁঝালো ভাষায় রাজ্যকে বিঁধলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যাদবপুরের ভিতরে রাতের অন্ধকারে মাদক পাচার চক্রের রমরমা হয়ে উঠেছিল বলে বিধানসভায় দাবি শুভেন্দুর। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় থানা কোনও পদক্ষেপ করেনি।
এদিন বিরোধী দলনেতা বিধানসভায় বলেন, ‘ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য স্তম্ভিত। মাদক পাচার চক্রের অবাধ বিচরণ ছিল বলে অভিযোগ। ঢিল ছোড়া দূরত্বে থানা। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। র্যাগিং করেছে। সিনিয়ররা হস্টেল দখল করে রাখত। সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য হৃদয়বিদারক। এটা নতুন নয়। ওখানে এক ধরনের উগ্র বাম মানসিকতার সংগঠনের ছাত্র আছে, যারা দেশ বিরোধী কথা বলে মাঝে মাঝে।’
মঙ্গলবার বিধানসভার ভিতরেও উঠল, যাদবপুরের অন্দরে ‘মাদক তত্ত্বের’ অভিযোগ। যাদবপুরের এই পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকার কী ভাবছে, তা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে বিধানসভায় প্রশ্ন করেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দুর প্রশ্নের জবাবে বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী যাদবপুরের পরিস্থিতির জন্য রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের দিকেই দায় ঠেলেন। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য সরকার কোনও বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশিকা পাঠাতে পারে। কিন্তু তা কার্যকর করার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের। ব্রাত্যর বক্তব্য, আগে যিনি উপাচার্য ছিলেন, তিনিও রাজ্যপাল নিযুক্ত। আর এখন সম্প্রতি যাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনিও রাজ্যপাল মনোনীত। ঘটনার জন্য ‘রাজ্যপাল ১০০ শতাংশ দায়ী’ বলেই মন্তব্য ব্রাত্যর। অন্যদিকে মাদক নিয়ে শুভেন্দু যে অভিযোগ তুলছেন, তা নিয়েও জবাব দেন শিক্ষামন্ত্রী। বলেন, ‘মাদক চক্র চললে, তার জন্য আছে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো।’
আরও পড়ুন – সিসিটিভি বসানোর আগে স্টেক হোল্ডারকে ‘অনুমতি’ নিতেই হবে, স্পষ্ট জানিয়ে দিল আফসু,
উল্লেখ্য, যাদবপুরের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু ঘিরে তোলপাড় হচ্ছে গোটা রাজ্য। অভিযোগ উঠছে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আনাগোনার। ডিপার্টমেন্টের বাইরে মদের বোতল পড়ে থাকার দৃশ্য ধরা পড়েছে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। আর এসবের মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠকে বসে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু ঘোষণা করেন, মাদক ও সুরা নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।