ফিরহাদের ইঙ্গিতে চাঞ্চল্য,পুর নিয়োগে দুর্নীতি কি কবুল করে নিলেন ফিরহাদ? পুরসভাগুলির নিয়োগ (Municipality Recruitment) যে দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, সেই নিয়ে তদন্ত করছে ইডি-সিবিআই। আর এবার পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত ইস্যুতে মুখ খুললেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও (Firhad Hakim)। মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘দফতরে যদি কোনও অনিয়ম হয়, তাহলে দফতর নিশ্চিতভাবে তা খতিয়ে দেখে। কিন্তু ব্যাপারটা কী, তা আমি বুঝে উঠতে পারিনি। যতদূর আমি জেনেছি, বিভিন্ন পুরসভায় কিছু নিয়োগ হয়েছে। সেই নিয়োগ কেন এজেন্সি দিয়ে করল, সেটা আমি বুঝে উঠতে পারলাম না। যেটা নিয়ম, পুরসভা, জেলাশাসকের অফিস নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে এই নিয়োগ করা হয়। কিন্তু বাইরের এজেন্সি দিয়ে কেন করা হল, সেটা আমি বুঝে উঠতে পারিনি।’
ফিরহাদ হাকিম ইতিমধ্যেই দফতরের তরফে জানতে চেয়েছেন, এই নিয়োগের জন্য কোনও সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রয়োজন কী? বললেন, ‘আমার কাছে এখনও রিপোর্ট আসেনি। ওরা (দফতর) নিশ্চিতভাবে খতিয়ে দেখছে। আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাব। আদালত যদি চায়, তাহলে আমরা নিশ্চিতভাবে সেই তথ্য দেব।’ এই সংস্থাগুলিকে অনুমোদন দিয়েছে কে? তা নিয়েও প্রশ্ন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর।
উল্লেখ্য, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে ভূড়ি ভূড়ি দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, তাতে ইতিমধ্যেই বেশ অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। আর এরই মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার অয়ন শীলের বাড়ি থেকে প্রচুর সংখ্যায় পুরসভায় নিয়োগের ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে। তারপর থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই দুর্নীতি ও বেনিয়ম শুধু শিক্ষাক্ষেত্রেই নয়, পুরসভার নিয়োগের ক্ষেত্রেও হয়েছে।
আরও পড়ুন – ‘ঘৃণার বাজার বন্ধ, খুলল ভালবাসার দোকান’, কর্নাটকে জয়ের পর মন্তব্য রাহুলের
মন্ত্রীর এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, পুরসভার নিয়োগের ক্ষেত্রে যে বেনিয়ম হয়েছে, তা একপ্রকার স্বীকার করে নিচ্ছেন তিনি। ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, এখন পুরসভার গ্রুপ ডি বাদে বাকি সব নিয়োগ মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে হয়। কেবল গ্রুপ ডি-তে নিয়োগ সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলি করে থাকে। মন্ত্রী বললেন, ‘দফতরের থেকে জানা হবে, কেন হঠাৎ করে এই এজেন্সি দিয়ে নিয়োগ করানো হল। আমি আমার পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব খলিল আহমেদকে বলেছি, উনি যথাযথ ব্যবস্থা করছেন।’