‘এলাকায় কোনওদিন দেখিনি, কী করে যে ভোট পেল জানি না’, নুসরত প্রসঙ্গ ফুঁসছে বসিরহাট , রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মীদের ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ। যে সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সেই ‘সেভেন সেন্সেস’ কোম্পানির অন্যতম ডাইরেক্টর ছিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা বিখ্যাত অভিনেত্রী নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। অভিযোগ উঠেছে, দুর্নীতির টাকাতেই ২ কোটি টাকার ফ্ল্যাট কিনেছেন তিনি। যদিও বিতর্কের আবহেই ইতিমধ্যেই সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই। সাফ জানিয়েছেন তিনি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। এদিকে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, নুসরত নিয়ে রাজ্যজোড়া বিতর্কের আবহে সাংসদকে নিয়ে কী ভাবছেন বসিরহাটের লোকজন?
সাংসদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বসিরহাটের আইনজীবী। বলছেন, “আমি তো এলাকায় ওনাকে কোনওদিনই দেখিনি। কোনও কাজ করতেও দেখিনি। এদিকে এলাকার রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। কিন্তু, কাজের কাজ তো কিছুই হচ্ছে না।” কী করে যে নুসরত বিপুল ভোটে জিতে তা বুঝতেই পারছেন এলাকার বাসিন্দা রথিষ দাশও। তাঁর গলাতেও শোনা গেল ক্ষোভের সুর। স্পষ্টই বলছেন, “চার বছরে ওনাকে এলাকায় কোনওদিন দেখিনি। কাগজেই ছবি দেখি শুধু। এখানকার লোকের সঙ্গে ওনার কোনও যোগাযোগ রয়েছে বলে আমার মনে হয় না। কী করে উনি এত ভোটে জিতলেন আমি বুঝতে পারি না।”
আরও পড়ুন – প্রশ্নবাণে বেসামাল নুসরাত, সাংবাদিক বৈঠকে মেজাজ হারালেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান, কি…
কাজের নিরিখে সাংসদকে খুব একটা বেশি নম্বর দিতে রাজি নন এলাকার বাসিন্দারা। শিল্পী তরুণ চন্দ তো স্পষ্ট বলেই দিলেন, “আমার মনে হয় গোটা বাংলা তথা ভারতজুড়ে যে স্পিডে কাজ হচ্ছে তার কিছুই বসিরহাটে হচ্ছে না। উনি যে লেভেলের মানুষ তাতে কাজ করলে গোটা বসিরহাট চেঞ্জ হয়ে যেতে পারতো। আমাদের আশা ছিল অনেক এলাকার সৌন্দর্যায়ন হবে। আমি নিজে একজন শিল্পী, উনি অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত, তাই ভেবেছিলাম এ দিকগুলো দেখবেন। কিন্তু, কাজ তো কিছুই হয়নি।”