দিদি না থাকলে দল করবেন না, যাঁরা বলছেন, এখনই চলে যান’,তৃণমূলের শুরু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হাত ধরেই। নিজে হাতে দলটাকে গড়েছেন তিনি। দলে অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা তাঁর একেবারে প্রথম দিনের সঙ্গী। তবে কালের নিয়মে যে কোনও দায়িত্বই যায় উত্তরাধিকারীর হাতে। সে বিষয়েও যে ঘাসফুলের অন্দরে নানা মুনির নানা মত রয়েছে, তা কারও অজানা নয়। দলের নেতারা আড়ালে যা নিয়ে আলোচনা করেন, শুক্রবার কালীঘাটের সে কথা নিজেই তুললেন দলনেত্রী মমতা। যাঁরা বলছেন, মমতাদি না থাকলে দল করবেন না, তাঁদের জন্য দরজা খোলা আছে। চাইলে তাঁরা দল ছেড়ে দিতে পারেন এখনই। নেতাদের এই বার্তাই দিয়েছেন তিনি। এমনটাই সূত্রের খবর। নতুন প্রজন্মকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে যে সব নেতাদের আপত্তি রয়েছে বলে শোনা যায়, তাঁদের নাম না করে কালীঘাটের বৈঠকে মমতা একরমক ভর্ৎসনা করেছেন বলেই সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, কো-অর্ডিনেটর হিসেবে শুক্রবার যাঁদের জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই পুরনো নেতা। রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসের মতো নেতা। প্রশ্ন উঠেছে, নতুন প্রজন্মের ওপর কি তাহলে আস্থা নেই? এ ব্যাপারে অবশ্য সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যাখ্যা দিয়েছেন, পুরনোদের অভিজ্ঞতাকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
নতুন প্রজন্মকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে যে সব নেতাদের আপত্তি রয়েছে বলে শোনা যায়, তাঁদের নাম না করে কালীঘাটের বৈঠকে মমতা একরমক ভর্ৎসনা করেছেন বলেই সূত্রের খবর। আপাতত দলের রাশ তাঁর নিজের হাতে থাকলেও, পরবর্তীতে যে নতুন প্রজন্ম দায়িত্ব নেবে, একথা ভালভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের উদাহরণ টেনেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি দাবি করেছেন, ইন্দিরা গান্ধী বা রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর কংগ্রেস তো উঠে যায়নি, তাহলে তৃণমূলের নেতৃত্বে নিয়ে এত সমস্যা কীসের? তাঁর প্রশ্ন, এত পরিশ্রম করে একটা দল গড়ে দেওয়া হল কেন?
আরও পড়ুন –মুকুল রায়ের মস্তিষ্কে বসানো হল ‘চিপ’ ,আপাতত স্থিতিশীল তিনি
শুধু তাই নয়, কোন নেতা ট্রেনে বসে কী আলোচনা করছেন সে খবরও তাঁর কানে পৌঁছেছে বলে দাবি মমতার। এই প্রসঙ্গে ইদ্রিস আলি ও আখরুজ্জামানকে ভর্ৎসনা করেছেন তিনি। দলে থেকে বাইরে সমালোচনা করা চলবে না বলে কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি।