নিজস্ব সংবাদদাতা ২৬ অক্টোবর ২০২০ কোলকাতা: আজ দশমীতে চোখের জলে বিদায় নেবেন উমা। তাতে থাকবে না কোনও আড়ম্বর। মণ্ডপ থেকে প্রতিমা সরাসরি চলে যাবে ঘাটে। পুজো শুরু হওয়ার অনেক আগেই পুজো কমিটি গুলিকে বিসর্জন সম্পর্কে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে পালটে গিয়েছে প্রতিমা বিসর্জনের পদ্ধতি। কলকাতা পুলিশের আওতায় ২৪টি মূল ঘাট-সহ মোট ৩০টি ঘাটে বিসর্জন দেওয়া যায়। মূল ঘাটগুলির মধ্যে রাজাবাগান, নাদিয়াল, গার্ডেনরিচ এলাকায় একটি করে, দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকায় তিনটি ও উত্তর বন্দর এলাকায় ১৮টিতে বিসর্জন দেওয়া যায়। এ ছাড়াও রয়েছে ছ’টি ছোট ঘাট, সেখানও দেওয়া যেতে পারে বিসর্জন। শহরের নির্ধারিত কোনও সরোবর বা পুকুরেও বিসর্জন দিতে পারেন কোনও পুজো উদ্যোক্তা। যদিও বারোয়ারি পুজোর ক্ষেত্রে মূলত গঙ্গায় বিসর্জন করা হয়। মা দুর্গা ও তাঁর ছেলেমেয়েদের সামনে বাজবে না ব্যান্ডপার্টি। প্রদীপ হাতে নিয়ে লাইন দিয়ে যাবে না পাড়ার ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা। কারণ, করোনা পরিস্থিতিতে সব রকমের শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ। এবার প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে নির্ধারিত দিন ও সময় মেনে। প্রতিমা। লালবাজারের এক আধিকারিক জানান, ৩০টি ঘাটেই মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত সংখ্যক ডিএমজি কর্মী ও ডুবুরিরা।
আরও পড়ুন…পুজোয় বেড়িয়ে মদ্যপ এর খপ্পরে তরুণ তরুণী
প্রত্যেকটি ঘাটে থাকবে নৌকা। যদি কোনও অঘটন ঘটে অথবা কাউকে ভেসে যেতে দেখা যায়, সঙ্গে সঙ্গে ডিএমজি কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করবেন। স্থানীয় মাঝিদের সাহায্য নেওয়া হবে। একই সঙ্গে এই চারদিন ওয়াটার জেট স্কি ও স্পিডবোটে জলপুলিশ গঙ্গাজুড়ে টহল দেবে বলে জানা গেছে পুলিশ সূত্রে।