দিল্লিতে জারি হাই অ্যালার্ট! সরানো হল ৪১ হাজার বাসিন্দাকে, জরুরি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল

দিল্লিতে জারি হাই অ্যালার্ট! সরানো হল ৪১ হাজার বাসিন্দাকে, জরুরি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল। দিল্লিতে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে যমুনার জল,টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে ভাসছে সমগ্র উত্তর ভারত। উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশের পাশাপাশি ভয়াবহ অবস্থা রাজধানী দিল্লিরও। গত তিনদিনে প্রায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর উপর টানা বৃষ্টিপাত হয়ে যাওয়ায় নদীর জল ফুঁসে উঠছে। যমুনা নদীর জল বিপজ্জনক সীমার উপর দিয়ে বইছে। কেন্দ্রীয় জল কমিশন (CWC)-এর রিপোর্ট অনুসারে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত যমুনা নদীর জল বিপদসীমা ২০৫.৩৩ মিটার অতিক্রম করে ২০৬.৩২ মিটার দিয়ে বইছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নীচু এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে নর্দান রেলওয়ের বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সড়কপথে যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।

 

 

 

 

 

রাজধানীর জলমগ্ন পরিস্থিতি এবং যমুনা নদীর বন্যা-সতর্কতা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। তিনি জানান,৪০ বছর পর এরকম বৃষ্টিপাত হল। তাই এত পরিমাণ বৃষ্টির জল ধরার মতো ড্রেনেজ সিস্টেম নেই। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় যমুনা নদী সংলগ্ন নীচু এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরানো হচ্ছে।এখনও পর্যন্ত ৪১ হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে সরানো হয়েছে।প্রয়োজনে আরও বাসিন্দাদের সরানো হতে পারে।যদিও কেজরীবাল সরকারের ত্রাণসামগ্রী যে গুদামে রাখা ছিল,সেটা সোমবারই প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।ফলে বহু ত্রাণসামগ্রী নষ্ট হয়েছে। ন্যা-পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকার কথা বলেছেন পূর্ত বিভাগের মন্ত্রী আতিশি।মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল স্বয়ং সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নজরদারি করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।বন্যা-প্রবণ এলাকায় ১৬টি কন্ট্রোল রুম খুলেছে কেজরীবাল সরকার।

 

 

 

 

 

আরও পড়ুন –  গণনাপর্বে শান্তির বার্তা নওশাদের, কি বললেন ?

 

 

 

 

 

 

 

CWC সূত্রে খবর,১৯৭৮ সালে যমুনা নদীর জল সর্বোচ্চ সীমা, ২০৭.৪৯ মিটার উঠেছিল।এখনও পর্যন্ত সেটাই রেকর্ড।তবে ইতিমধ্যে যমুনার জল ২০৬ মিটার সীমা পেরিয়ে গিয়েছে।ফলে ভারী বৃষ্টিপাত চললে ১৯৭৮ সালের রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে। নর্দান রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপক কুমার জানান,হরিয়ানার হাথনিকুণ্ড ব্যারেজের বিপদসীমা অতিক্রম করে গিয়েছে জল।ঝুঁকি এড়াতে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে রেল চলাচল বন্ধ রাথা হয়েছে।পুরোনা যমুনা ব্রিজ এবং সংলগ্ন রাস্তায় যান চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।