বেলঘরিয়ার ঐতিহাসিক রথ উৎসবকে ঘিরে দর্শনার্থীদের ঢল

বেলঘরিয়ার ঐতিহাসিক রথ উৎসবকে ঘিরে দর্শনার্থীদের ঢল। শুক্রবার বিকেলে বেলঘরিয়ার রথতলার রথ উৎসবকে কেন্দ্র করে দর্শনার্থীদের ঢল। রথতলা শ্রী শ্রী জগন্নাথ মহাপ্রভু মন্দির কমিটির উদ্যোগে ঐতিহাসিক এই রথ উৎসবের শুভ সুচনা করেন তারাপিঠ মন্দিরের মহারাজ দন্ডিত স্বামী শ্রীমত মহন্ত মহারাজ। এদিন রথতলার সুবিশাল এই রথ উৎসবকে কেন্দ্র করে বিটি রোডের দুধারে দর্শনার্থীদের উৎসাহ ও উদ্দিপনা ছিল চোখে পড়ার মত। এই জনস্রোতকে সামাল দিতে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। ৩০ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন ঐতিহাসিক এই রথ উৎসবকে ঘিরে শুধু বেলঘরিয়াবাসিই নয়। রাজ্যের দুরদুরান্ত থেকে অগনিত ভক্তপ্রান মানুষেরা উৎসব প্রাঙ্গণে সামিল হয়েছিলেন।

 

গতকালই কামাহাটির বিধায়ক মদন মিত্র আপামর সর্বসাধারণের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছিলেন,অন্য যে কোন দিন পুরীতে যান। কিন্তু পয়লা জুলাই রথ উৎসবের দিন বেলঘরিয়ার রথ উৎসবে উপস্থিত থাকুন। কারন পুরীর রথের আদলেই এবার রথতলার তিনটি রথ নির্মিত হয়েছে। এদিন সুবিশাল তিনটি রথ খুদিরাম নার্সিংহোমের সামনে থেকে যাত্রা শুরু করে বিটি রোড ধরে খুদিরাম মাঠের সামনে গিয়ে শেষ হয়। আগামী উল্টোরথ পর্যন্ত তিনটি রথই ওই স্থানে থাকবে। এই রথ উৎসবকে কেন্দ্র করে বিটি রোডের দুধারে দোকানিরা বিভিন্ন পসরা সাজিয়ে বসেছে।

আরও পড়ুন – শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে ট্রাকের ধাক্কা, অল্পের জন্য প্রানে রক্ষা পেলেন শুভেন্দু

প্রতিবছরের মত এবারও বিটি রোডের দুধারে মেলা চলবে। এদিন জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার রথ তিনটি রাজপথে নামার সুচনা লগ্নে দরিতে টান দিতে দর্শনার্থীদের সাথে পায়ে পা মিলিয়েছিলেন সাংসদ সুব্রত বক্সী,অর্জুন সিং,বিধায়ক মদন মিত্র,তাপস রায়,কামারহাটির পুরপ্রধান গোপাল সাহা,বরানগরের পৌর পারিষদ সদস্য অঞ্জন পাল ও দক্ষীনেশ্বর মন্দির কমিটির অছি পরিষদের সম্পাদক কুশল চৌধুরী ও উৎসব কমিটির সম্পাদক সোমনাথ রায় চৌধুরী সহ কমিটির সমস্ত সদস্যবৃন্দ। এদিন উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে দর্শনার্থীদের মধ্যে প্রায় পঞ্চাশ হাজার মাক্স বিলি করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আগত সম্নানীয় অতিথিদের স্মারক ও পুষ্পস্তবক দিয়ে সন্মাননা ঞ্জাপন করা হয়।