যাত্রীর ছদ্মবেশ নিয়ে টোটো ছিনতাই,পুলিশের জালে গ্রেফতার চার। প্রথমে যাত্রী সেজে টোটোই উঠা ,তারপর চালক কে নেশা জাতীয় পানীয় খাইয়ে টোটো ছিনতাইয়ের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো মালদহের চাঁচল থানার জিতাল পূর এলকায়। এই ঘটনা এক দুই বার নয় প্রায় সই চলত ছিনতাই চ্ক্র। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে চার চিন্তায়কারীকে গ্রেফতার করল মালদাহের চাঁচল থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে নেশা জাতীয় স্প্রে পাউডার ও যন্ত্রাংশ উদ্ধার করে পুলিশ। আজ ধৃত চার গ্রেপ্তার করে চাঁচল মহকুম আদালতে পেশ করে পুলিশ।
পুলিস সূত্রে জানা যায়, ধৃতরা হল জালাদুল শেখ (৩৫)শেখ আজাবুল(২৮) শেখ মুক্তার (২৫) শেখ মশিম (২৫)।এদের প্রত্যেকের বাড়ি মালদহের হরিশ্চন্দ্র পূর এলাকায়।
পুলিস সূত্রে আরও জানা যায়, এই দুষ্কৃতীরা দীর্ঘদিন ধরেই যাত্রী সেজে টোটোতে চেপে সুযোগ বুঝে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে নেশা জাতীয় দ্রব্য টোটো চালকে খাইয়ে টোটো ছিন্তায় করে বিহারে পাচার করত। সম্প্রতি, চাঁচল থানা এলাকার গৌডহণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের জিতারপূর এলাকা থেকে এই ভাবেই বেশ কয়েকটি টোটো ছিন্তায় করে এই দুষ্কৃতীরা। এই নিয়ে টোটো চালকেরা চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের ও করেন।
আরও পড়ুন – তৃণমূল নেতার ছেলেকে গাছে বেঁধে মারধর চাকরি প্রার্থীদের
গত বৃহস্পতিবার চাঁচলের জিতার পুরের টোটো চালক শঙ্কর ওরাও মালতীপুরের জিতার পূর থেকে তিন যাত্রীকে টোটো তে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় মালতীপুর থেকে কিছুটা দূরে একটি ফাঁকা জায়গায় দেখে নেশা জাতীয় কিছু টোটো চালকের নাকে মুখে স্প্রে করে চালক কে রাস্তায় ফেলে টোটো নিয়ে চম্পট দেয় যাত্রীবেশী ছিন্তায়কারীরা। পরে পথচারীরা ওই টোটো চালককে প্রথমে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়াই পরে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানস্তরিত করা হয়।
বর্তমানে টোটো চালক শংকর ওরাও মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নামে চাচল থানার পুলিশ।হরিশচন্দ্র পূর এলাকা থেকে এই চার দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার নেশা জাতীয় দ্রব্য সহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ।পুলিশের অনুমান এই টোটো গুলো ছিনতাই করে বিহার সীমান্তে পাচার করা হতো।আজ ধৃতদের দশ দিনের পুলিশি রিমান্ডের আবেদন চেয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
