গম রফতানিতে কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞা, ভারত- বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সীমান্তে এখন আটকে কয়েক হাজার গম বোঝাই লরি . বিদেশে গম রপ্তানি আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাতেই বিপাকে পড়েছে মালদার অসংখ্য রপ্তানিকারকেরা। মালদার ইংরেজবাজার ব্লকের মহদিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত- বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সীমান্তে এখন কয়েক হাজার গম বোঝাই লরি আটকে রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে গম বস্তাবন্দি হয়ে থাকায় এই খাদ্য শস্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন রপ্তানিকারকেরা। অবিলম্বে ভারত সরকার এই নির্দেশিকা যাতে গুরুত্ব সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখে তারও অনুরোধ জানিয়ে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের কাছে লিখিত পত্র পাঠিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল এক্সপোর্টার কোঅর্ডিনেটর কমিটির কর্তারা। কিন্তু আপাতত মালদার মহদিপুরের এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্র থেকে এখনো বাংলাদেশে গম রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনো রকম নির্দেশিকা দেওয়া হয় নি । ফলে ভারত সরকারের কয়েক কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির পাশাপাশি রপ্তানিকারকেরা বিপুল অঙ্কের আর্থিক লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা আশঙ্কা করছেন।
আরও পড়ুন – রানাঘাটে ‘মন কি বাত’ এ উপস্থিত হয়ে শাসক দলকে নিশানা দিলীপের
রপ্তানিকারকদের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী , গত ১২ মে থেকে বাংলাদেশ গম রপ্তানি করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী । এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যে দেশের আভ্যন্তরীণ এই খাদ্যশস্য সরবরাহ করে দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা। কিন্তু কেন্দ্র সরকারের এই নির্দেশিকা জারি হওয়ার অনেক আগেই মালদার মহদীপুর আন্তর্জাতিক ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিভিন্ন রাজ্য থেকে এসে পৌঁছেছে এক হাজারেরও বেশি গম বোঝাই লরি । পাঞ্জাব, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ , উত্তর প্রদেশ , উত্তরাখান্ড সহ একাধিক রাজ্য থেকে অসংখ্য গম বোঝাই লরি মালদায় পৌছিয়ে এখন এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্র লাগোয়া ফাঁকা পার্কিং জনেই সাড়ি দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কবে সীমান্তের ওপারে এই গম বোঝাই লরি গুলি যাওয়ার নির্দেশ পাবে সে ব্যাপারে কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না লরি চালক থেকে রপ্তানিকারকেরা।
উল্লেখ্য, প্রতিদিন স্থলবন্দর দিয়ে পণ্যবাহী লরি রপ্তানির উদ্দেশ্যে ঢুকে বাংলাদেশে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের গত ১২ মে গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জেরে কয়েক হাজার গম বোঝাই লরি আটকে পড়েছে সীমান্তে। দেশের অভ্যন্তরীণ মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে এই নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের বলে জানা গেছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল এক্সপোর্টার কো-অডিনেটর কমিটির রাজ্য সম্পাদক উজ্জল সাহা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার জেরে ল্যান্ড পোর্ট, সি পোর্ট, রেল পোর্ট এবং এয়ারপোর্টে লক্ষ লক্ষ টন গম আটকে রয়েছে। এর ফলে রপ্তানিকারকেরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ইতিমধ্যে বিষয়টি লিখিত আকারে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে জানানো হয়েছে। বিভিন্ন পোর্টে আটকে থাকা গমগুলি যাতে বাংলাদেশ রপ্তানি করা হয় সে ব্যাপারেও কেন্দ্র সরকারের কাছে বিশেষভাবে সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
