গোসাবায় নদীবাঁধ বিশাল ধ্বস নিয়ে পড়ার দৃশ্য ভাইরাল, আতঙ্কে এলাকাবাসী। পূর্ণিমার ভরা কোটালে নদী বাঁধে বড়সড় ধস,প্লাবিত হতে পারে গোটা গ্রাম,আতঙ্কিত গ্রামবাসী। দক্ষিণ ২৪ পরগণা গোসাবা ব্লকের এলাকায়। পূর্ণিমার ভরা কোটালে মঙ্গলবার নদীবাঁধ বড়সড় ধস নামলো। আচমকা সুন্দরবনের নদীগুলোতে জলস্তর অত্যধিক হারে বেড়ে যায়।
জলস্তর বেড়ে যাওয়া গোসাবা ব্লকের সাতজেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দয়াপুর এলাকায় প্রবাহিত গোমর নদীবাঁধে ধস নামে। মঙ্গলবার প্রায় ১৮০ থেকে ১৯০ ফুট নদীবাঁধে ধস নেমে নদী গর্ভে তলিয়ে যায়।আচমকা এমন ঘটনা নজরে পড়তেই এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
তবে এলাকার সাধারণ মানুষ জনেরা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কে ঘটনার কথা জানায়।অন্যদিকে গোমর নদীতে যে ভাবে জলস্তর বেড়ে চলেছে তাতে করে যেকোন সময় নদীবাঁধ ভেঙে কিংবা উপচে জল ঢুকে পড়তে পারে গ্রাম মধ্যে। আর সেই কারণে ঘুম উড়েছে সুন্দরবন বাসির ।
আর ও পড়ুন অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ আলিয়া ইউনিভার্সিটি পড়ুয়াদের
সেক্ষেত্রে প্লাবিত হতে পারে গ্রামের পর গ্রাম। নদীবাঁধ ভেঙে গ্রামের মধ্যে লবণাক্ত জল ঢুকে পড়লে ক্ষতি হবে চাষের জমি,ফসল। এমনকি বাড়িঘর ভেঙে তলিয়ে যেতে পারে নদীগর্ভে।আশাঙ্কার মধ্যে গ্রামবাসীরা প্রাথমিক ভাবে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেদিয়েছেন।
যাতে করে নদীবাঁধ উপচে জল গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করতে না পারে।অন্যদিকে ঘটনার পর থেকেই ব্লক প্রশাসনের তরফে তড়িঘড়ি নদীবাঁধ মেরামতির জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছেন সেচদফতরের কর্মীরা।
তবে এ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে গোসাবার বিধায়ক সুব্রত মন্ডল বলেন, “ পূর্ণিমার কোটালের জলের চাপে গোসাবা ব্লকের সাতজেলিয়ার দয়াপুর এলাকার গোমর নদীবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে তড়িঘড়ি বাঁধ মেরামতির ব্যবস্থা করা হয়েছে।