চোর সন্দেহে ৭ বছরের বালককে মারধোরের অভিযোগে গ্রেপ্তার এক মহিলা। চোর সন্দেহে ৭ বছরের বালককে পিলারে নারকেল দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে মারধরের ঘটনায় এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিস। ধৃত মহিলার নাম মধুমিতা মল্লিক। বর্ধমান শহরের বিসি রোডের খাঁপাড়ায় তার বাড়ি। শুক্রবার ভোরে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতকে এদিনই বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। মারধরে বাকি জড়িতদের হদিশ পেতে ধৃতকে ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। ধৃতের ১ দিনের পুলিসি হেফাজত মঞ্জুর করেন সিজেএম চন্দা হাসমত।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে কয়েকটি বাচ্চা ছেলে মধুমিতার বাড়িতে ঢোকে। সন্দেহ হওয়ায় তিনি ও আশপাশের লোকজন তাদের তাড়া করে। বাকিরা পালিয়ে গেলেও গলসির ৭ বছরের ওই বালকটি ধরা পড়ে যায়। এরপর তাকে নারকেল দড়ি দিয়ে পিলারের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়। বুক ও গলার কাছে এমনভাবে দড়ি বাঁধা হয়, যেকোন সময় শ্বাসরোধ হয়ে বালকটি মারা যেতে পারত। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিসকে দেখে মারধরে জড়িতরা পালিয়ে যায়। দড়ি কেটে পুলিস বালককে উদ্ধার করে। বাঁধা ও মারধরের ফলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তার চিকিৎসা করায় পুলিস। বিষয়টি পুলিসের তরফে চাইল্ড লাইনে জানানো হয়। হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসে তাকে চাইল্ড ওয়েল ফেয়ার কর্ণারে রাখা হয়। পরে চাইল্ড লাইন বালককে নিয়ে যায়। ঘটনার বিষয়ে বর্ধমান থানার সাব-ইন্সপেক্টর রাজিবুল মণ্ডল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে বেআইনিভাবে আটকে রেখে মারধর করা, খুনের চেষ্টা ও জুভেনাইল জাস্টিস কেয়ার অ্যান্ড প্রোটেকশন অব চিলড্রেন অ্যাক্টের ৭৫ ধারায় মামলা রুজু করেছে থানা। ধৃতের বাড়ি থেকে ৫ ফুটের একটি নারকেল দড়ি ও ১ ফুটের একটি লাঠি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।