জল্পেশ শ্রাবণী মেলায় রেকর্ড ভিড়। শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জল্পেশ শ্রাবণী মেলা। তৃতীয় সপ্তাহে রেকর্ড ভিড় জল্পেশ মন্দির চত্বরে। নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখলেও মন্দিরে নেই কোন করোনা বিধি। মন্দির চত্বরে দেখা মিলেছে মাস্ক হীন পুণ্যার্থীদের। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দপ্তর।
উত্তরবঙ্গের সর্বপ্রাচীন ও সর্ববৃহৎ শৈবতীর্থ জল্পেশ মন্দির। বছরের তিনটি সময় মেলা বসে মন্দির চত্বরে। সেই মেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় মেলা শ্রাবণ মাসের শ্রাবণী মেলা। তাই সেই মেলাকে ঘিরে প্রশাসনিক তৎপরতা থাকে তুঙ্গে। তবে এবছর নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখা হলেও করোনা বিধি না মানার অভিযোগ মন্দির কমিটির বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ময়নাগুড়িতে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তার মাঝে এই মেলায় মাস্কহীন মানুষের ভিড় কার্যত চিন্তায় ফেলেছে স্বাস্থ্য দপ্তরকে।
আরও পড়ুন – সুজিত বসুর উপস্থিতিতে আয়োজিত হলো চালতা বাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির খুঁটি পুজো
উল্লেখ্য, শ্রাবণী মেলায় উত্তরবঙ্গ তথা গোটা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা আসেন পুজো দিতে। এমনকি প্রতিবেশী রাজ্য ও রাষ্ট্র থেকেও প্রচুর পূণ্যার্থী মন্দিরে আসেন পুজো দিতে। শ্রাবণ মাসে বিশেষত রবিবার পুর্ন্যার্থীরা মন্দিরে এসে থাকেন এবং সোমবার পুজো দিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। তাই রেকর্ড ভিড় হয় রবিবার করে। তৃতীয় রবিবারে দেখা মিলল রেকর্ড সংখ্যক পূর্ন্যার্থীর ভিড়।
এদিনও মুখে মাস্ক হীন ভাবেই ঘুরছেন পূর্ন্যার্থীরা। মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রেও নেই কোন বিধি নিষেধ। নেই স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা এমনকি নেই মাস্কের ব্যবস্থা। এই বিষয়ে জল্পেশ মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক গীরেন্দ্রনাথ দেব বলেন,”আমরা পুণ্যার্থীদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যে তারা মাস্ক পড়ে অবশ্যই মন্দিরে আসবেন এবং পুজো দেবেন। এছাড়াও, আমরা মন্দিরে বিভিন্নভাবে প্রচার চালাচ্ছি।”