তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে উত্তেজনা মেমারিতে, গ্রেপ্তার ৯। বুধবার রাত সাড়ে দশটা থেকে ১১ টা নাগাদ পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি পৌরসভার অন্তর্গত ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ক্লাব উদয়ন এর কাছে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে মেমারি থানার পুলিশ উপস্থিত হয়ে দুই পক্ষের উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা যায় উভয় পক্ষের চারজন আহত হয়েছে। আহতদের নাম প্রসুন দাস সৌরভ ঘোষ প্রসেনজিৎ দত্ত ও সুভাষ পন্ডিত।
মেমারি থানার পুলিশ তাদেরকে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর তাদেরকে বর্ধমান হাসপাতালে রেফার করেন। মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে আহতদের দেখতে উপস্থিত হন মেমারি পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ে ও উপ পৌরপ্রধান সুপ্রিয় সামন্ত। কিন্তু এবিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
বৃহস্পতিবার সকালে মেমারি থানার পুলিশ দুপক্ষের নয় জনকে গ্রেফতার করে। এরা সকলেই তৃণমূল কর্মী বলে জনা যায়। বৃহস্পতিবার সকালে নির্দিষ্ট ধারা সুনির্দিষ্ট রুজু করে বর্ধমান কোর্টে অভিযুক্তদের পাঠানো হয়। বর্ধমান জেলা আদালতের বিচারক অভিযুক্তের প্রসেনজিত দত্ত, শ্রীদীপ ঘোষ এবং বাপন ক্ষেত্রপালকে আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত এবং অপর পক্ষের সন্তু নায়েক, অভিজিত বিশ্বাস, সৌরভ সাধুখাঁ, সুদীপ ঘোষাল, শিশু বেরা, সুমন কুন্ডুকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
গোষ্ঠী সংঘর্ষে আহত তৃণমূল কর্মী প্রসুন দাস জানান, মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন ঘোষালের অনুগামীরা তাদের উপর কটুক্তিকরে ও হামলা করে ও মেডিসিনের দোকান ভাঙচুর করে উপদ্রবকারী দুষ্কৃতিরা। তিনি সরাসরি শহর সভাপতি স্বপন ঘোষালের দিকে আঙুল তোলেন।
অন্যদিকে সুভাষ পন্ডিত বলেন, এ নিয়ে তিনবার তার উপর আক্রমণ করা হলো। এর জন্য দায়ী, প্রসেনজিত দত্ত, প্রসূণ দাস, সৌরভ ঘোষ সহ তাদের দলবল। এখন তিনি নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন। তিনি আরও জানান ড্রাইভারের কাজ করে সংসার চালান, গোষ্ঠী রাজনীতির শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন – আইজ্যাক লিটন: বাংলা ওয়েব সিরিজে ভিন্নধর্মী গল্পের সূচনা
এব্যপারে মেমারি সহ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন ঘোষাল সমগ্র বিষয়টিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলতে নারাজ তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন পারিবারিক বিবাদের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে সমগ্র বিষয়টি মেমারি থানার পুলিশ তদন্ত করছে আসল সত্য সামনে আসবে।
এবিষয়ে পূর্ব বর্ধমান সিপিআইএম জেলা কমিটির সদস্য সনত ব্যানার্জী বলেন, এটি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও শহরের তোলাবাজি ভাগ বাটোয়ারা দখলের লড়াই এর সাথে পারিবারিক বিবাদের কোন সম্পর্ক নেই। মেমারি শহরের সবাই জানে এই দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ের কথা।