আইজ্যাক লিটন: বাংলা ওয়েব সিরিজে ভিন্নধর্মী গল্পের সূচনা

আইজ্যাক লিটন: বাংলা ওয়েব সিরিজে ভিন্নধর্মী গল্পের সূচনা। আইজ্যাক লিটন বাংলাদেশের ওটি টি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জের নতুন সিরিজ। সাত পর্বের ওয়েব সিরিজটি একটু অন্য স্বাদের।প্রথম দর্শনেই দর্শক সমালোচকের আগ্রহ তৈরি করতে সক্ষম।আইজ্যাক লিটনের ট্যাগলাইন স্রোতের বিপরীতে হাঁটা মানুষের গল্প। এখানে সিরিজের নির্মাতা নিজেই যেন স্রোতের বিপরীতে হাঁটছেন।অনেক চরিত্র এই সিরিজে অভিনয় করেছেন বিভিন্ন অভিনেতারা,মোশারফ করিম,অর্চিতা স্পর্শীয়া,আজিজুল হাকিম,জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়,সমু চৌধুরী,সাবেরী আলম,আনন্দ খালেদ ও আরো অনেকে।অভিনয়,গল্প,উপস্থাপনা অনেক কিছুই উন্নত মানের এই সিরিজে।ভিন্নধরনের এই সিরিজ অনেকের মনে আশা জাগাতে পেরেছে।

 

মোশাররফ করিম আইজাক লিটন চরিত্রে নিঃসন্দেহে ক্যারিয়ারে অন্যতম সেরা অভিনয় করেছেন। সিরিজের সবচেয়ে শক্তিশালী দিক ছিল সংলাপ। মোশাররফ করিম সংলাপগুলো এতটা বাস্তবসম্মতভাবে বলেছেন যে এক পর্যায়ে মনে হয়েছে কোনো এক জন্মে বোধ হয় তিনি আইজ্যাক লিটন হয়েই জন্মেছিলেন। চন্দ্রাবতী চরিত্রে স্পর্শীয়ার অভিনয় সিরিজে আইজ্যাক লিটনের একটি সংলাপের মাধ্যমেই ব্যাখ্যা করা যায়, পৃথিবীতে কিছু মেয়ে আছে যাদের দেখে ভালোবাসিটাসি না বলে সরাসরি বলতে ইচ্ছে করে চলো বিয়ে করে ফেলি। সত্যি পুরো সিরিজে মেয়েটা আইজ্যাক লিটনের চন্দ্রাবতী হয়েই ছিলেন। এক মুহূর্তের জন্যও চরিত্র থেকে সরে যাননি। জয়ন্তু চট্টোপাধ্যায়, সমু চৌধুরী চরিত্র অনুযায়ী খুব ভালো করেছেন। তবে গল্প, সংলাপ এবং নির্মাণশৈলি সব কিছুকে ছাড়িয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন – শিলিগুড়িতে ভাইফোটার বাজারে শাকসবজি ,মাছ মাংসের অগ্নিমূল্য

শেষের ক্লাইমেক্সগুলো চমকে ওঠার মতো। নির্মাতা আশরাফুজ্জামান শেষ সেকেন্ড পর্যন্ত সবাইকে ধরে রেখেছেন। হেঁটেছেন স্রোতের বিপরীতে, শেষটাও হয়েছে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে। সিরিজের লোকেশনগুলো ছিল গল্প অনুযায়ী যথার্থ। সিনেম্যাটোগ্রাফি, এডিটিং আহামরি না হলে চলসনই ছিল। বিজিএম কিছু কিছু জায়গায় আপ টু দ্যা মার্ক ছিল না। তারপরও এই সিরিজটিকে আমি বলব নতুন দিগন্তের সূচনা। সিনেমা, ওয়েব সিরিজে যে জিনিসটা আমাকে বেশি আকৃষ্ট করে সেটা হচ্ছে নতুনত্ব। নতুনত্বের শুরু হতে হয়, কনসেপ্ট এবং স্টরি থেকে। সেদিক থেকে আইজ্যাক লিটন সবার চেয়ে এগিয়ে।

রুচিরা মজুমদার পাল।
কবি ও লেখক, পশ্চিমবঙ্গ,ভারত