তৃনমূল আমলে ভোল পাল্টেছে রায়গঞ্জ ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে। উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ ২৪ ওয়ার্ডে ভোল বদলেছে তৃণমূলের আমলেই। এই ওয়ার্ডে বিগত ৫ বছরের কাউন্সিলর ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির স্নেহধন্যা শ্রীমতী কেয়া চৌধুরী। বর্তমানে তিনি ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর। তার উদ্যোগে তৃণমূল পরিচালিত রায়গঞ্জ পৌরসভার পৌর বোর্ডের সহায়তায় ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে গত পাঁচ বছরে শুধু পিচের রাস্তা তৈরি হয়েছে ৭.২ কিমি।
ঢালাই রাস্তা তৈরি হয়েছে ৮২৮ মিটার। তার উদ্যোগেই হয়েছে কলেজ পাড়া বাসীদের ঐতিহ্যপূর্ণ বারোয়ারী মন্দির সংস্কার ও আলোক সজ্জায় সজ্জিত। কলেজপাড়া বাজারেও হয়েছে আলোকসজ্জা। এলাকার মেঘদূত ক্লাব ও অরবিন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠেও হয়েছে অলোক সজ্জা। এখন কলেজপাড়া সবজি বাজার সংস্কার এর কাজ চলছে। পূর্ব কলেজপাড়ার নিচু জায়গাগুলিতে জল জমে থাকতো দীর্ঘদিন, স্থায়ী সমাধানের জন্য জল নিকাশি নালার ব্যাবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন – ফুটবলার রোনাল্ডোর দাম দেখুন কত
কলেজপাড়া ২৪ নম্বর ওয়ার্ড এর প্রতিটি রাস্তা আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয়েছে। ৫৭৪ জন মা বোনদের কে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। দমকল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আলোকসজ্জা বাড়ানো হয়েছে। এ পর্যন্ত ৮০ জন মানুষকে জাতিগত শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছে। ৪০ জন কে বৃদ্ধভাতা, ৭০ জন কে বিধবাভাতা, ৪৫ জন কে মানবিক ভাতা প্রদান করা হয়েছে। এন এফ বি এস অর্থাৎ জাতীয় পারিবারিক সুবিধা প্রকল্পের ৪০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে চব্বিশ জনকে। ২২ জনকে রুপশ্রী ভাতা প্রদান করা হয়েছে। ৪৫ টি ইন্ডিভিজুয়াল হাউজহোল্ড ল্যাট্রিন অর্থাৎ ব্যক্তিগত শৌচাগার প্রদান করা হয়েছে। ৬৭৮ জনকে হাউস ফর অল অর্থাৎ বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের অধীনে আনা হয়েছে।
শুধু উন্নয়ন নয়,পরিষেবাতেও নজির রয়েছে।মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অনুপ্রেরণায় পৌর পরিষেবা প্রদানের জন্য কেয়া দেবী ওয়ার্ড এর মধ্যেই সকাল আটটা থেকে বেলা দুটো পর্যন্ত অফিস খোলা রেখেছেন। এরপরেও কারো কোনো অসুবিধা হলে তার বাড়িতে ছিল অবারিত দ্বার। ওয়ার্ডের কাউকেই কখনো পৌরসভা বা ব্লক অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি।তবে এই মানবিক, সুশিক্ষিতা, রুচিশিলা, শান্তিনিকেতনের কলা বিদ্যায় পারদর্শী কেয়া চৌধুরী এবার এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর থাকতে পারবেন না, কারণ ওয়ার্ডটি এবার তফশীল সংরক্ষিত করা হয়েছে। তাই স্বভাবতই মন খারাপ ওয়ার্ডবাসীর