দশদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক লোকসংস্কৃতি সম্মেলন। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিজে আবদুল কালাম অডিটরিয়ামে দশ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক লোকসংস্কৃতি সম্মেলন ও কর্মশালার শুভ সূচনা করা হল।অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মানসকুমার সান্যাল।
উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক অধ্যাপক দেবাংশু রায়, কলা ও বাণিজ্য অনুসদের অধ্যক্ষ অধ্যাপক অমলেন্দু ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকসংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সহ চারজন শিক্ষক ও ৫২ জন ছাত্র-ছাত্রী। অধ্যাপক হোসেন জানান, ‘আমাদের কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় এসে ভীষণ ভালো লাগছে। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের সেতুবন্ধন তৈরি হলো’।
এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল হোসেন চৌধুরী, অধ্যাপিকা মোবারা সিদ্দিকা ও অধ্যাপক মোহাম্মদ রোওশন জাহিদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান, ‘লোকসংস্কৃতি বিভাগের এই উদ্যোগ সত্যিই অভিনব। কিছুদিনের মধ্যে আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করব। এছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মউ স্বাক্ষরের প্রক্রিয়াও চলছে। বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠন ও গবেষণা করার ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন – আন্তরাজ্য চন্দন কাঠ পাচারকারী চক্রের হদিশ,গ্রেপ্তার ৪
উপাচার্যের এ-কথা শুনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ভীষণভাবে খুশি হয়। লোকসংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সুজয়কুমার মন্ডল বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে মৈত্রীর সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে দশ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক স্তরের সম্মেলনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে, যেমন- ক্ষেত্রসমীক্ষা, কর্মশালা, আলোচনা চক্র, ফিল্ম শো, বিতর্ক সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি। সব কর্মসূচির মাধ্যমে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যেমন ভাবের আদান-প্রদান ঘটবে তেমনি সাংস্কৃতিক বিনিময়ও হবে’।
সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো ভারত ও বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতি চর্চা বিষয়ে আলোচনা, কর্মশালা, ক্ষেত্রসমীক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের পরিসর বৃদ্ধি করা। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় লোকসংস্কৃতি বিভাগ ও বাংলাদেশের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকসংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক, গবেষক ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ভাবের আদান-প্রদান যেমন হবে তেমনি বিদ্যায়তনিক চর্চার পথ সুগম হবে বলে অংশগ্রহণকারীরা মনে করছেন। প্রতিষ্ঠিত হবে পারস্পরিক মৈত্রী। পরবর্তী সময়ে এই কর্মসূচির ফলোআপ পদক্ষেপ হিসাবে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মউ স্বাক্ষরিত হবে বলে বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে। দশদিন ব্যাপী