দিনহাটায় বইমেলার আয়োজন নিয়ে ক্ষোভ। এ বছর কোচবিহার জেলা বইমেলা কোচবিহার শহরের পরিবর্তে দিনহাটায় অনুষ্ঠিত হতে চলছে। আর তারপরেই বইমেলা জেলা শহর কোচবিহার থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ায় কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। শনিবার পুরসভায় সাংবাদিক বৈঠক করে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, কেন বইমেলাকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল সেটা তার বোধগম্য হচ্ছে না । তিনি উল্লেখ করেন এটা আমাদের দুর্ভাগ্য, দীর্ঘদিন কোচবিহার শহরে সাফল্যের সাথে বইমেলা হয়েছে। গতবার কিছু ত্রুটি থাকলেও এবার সেটা সংশোধনের সুযোগ ছিল। উপরন্তু যেটা হলো এখানে লেখক সাহিত্যিক থেকে শুরু করে একাধিক কলেজ যেমন রয়েছে তেমনি পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
তাদের পরামর্শ না নিয়ে এমনকি যে লাইব্রেরী কমিটি রয়েছে তাদের মিটিং হওয়ার আগেই কেমন করে বইমেলা মহকুমা স্তরে স্থানান্তরিত হল সেটা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। সাংবাদিকদের রবীন্দ্রনাথ ঘোষ আরো বলেন, বইমেলা মহাকুমা স্তরে এমনকি ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেও হতে পারে। তবে জেলা স্তরে বইমেলার একটা গুরিমা রয়েছে। সেই গরিমাকে এবার আঘাত করা হলো। এই সিদ্ধান্তটা কে নিয়েছে না নিয়েছে সেটা আমি জানি না, তবে যে সিদ্ধান্তটা নেওয়া হয়েছে সেটা সঠিক হয়নি। আমি বাস্তবটার উপর ভিত্তি করে বলছি, এটা হল জেলা বইমেলা।
এর আগেও বাপ মা বলে জেলা বইমেলা মহাকাশচারী করার চেষ্টা হয়েছিল সেক্ষেত্রে তার সেভাবে সার্থকতা আসেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে নতুন সরকার আসার পর আমি একটানা ১০ বার এই বইমেলা করেছি। সে ক্ষেত্রে লেখক শিল্পী সাহিত্যিক সাংবাদিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরে মানুষের পরামর্শ নিয়ে এই বইমেলা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে কলকাতার ভালো ভালো পাবলিশার্স থেকে শুরু করে বাংলাদেশ ও আশপাশের প্রতিবেশী দেশ অন্যান্য রাজ্য থেকেও পাবলিশার্স এসেছে। উত্তরবঙ্গের অন্যতম বইমেলা হয়ে উঠেছে কোচবিহার জেলা বইমেলা।
আরও পড়ুন – মহার্ঘ্যভাতা অবিলম্বে প্রদানের দাবি তুলে শিলিগুড়ি মহকুমা শাসকের দফতরে অভিযান
উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কোচবিহার জেলা বইমেলা কো mচবিহার শহরের পরিবর্তে এ বছর দিনহাটায় শুরু হচ্ছে সাতাশে ডিসেম্বর থেকে বলে ঘোষণা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ সামাজিক মাধ্যমেও পোস্ট করে তিনি উল্লেখ করেছেন কোচবিহার জেলা বইমেলায় এবার হচ্ছে দিনহাটায়।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর এই ঘোষণায় দিনহাটা মহকুমার বিভিন্ন স্তরেও লেখক সাহিত্যিকদের একটি অংশের মধ্যে খুশি লক্ষ্য করা যায়। এরপরেই বইমেলা নিয়ে দিন রাজ্যের প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে ঘিরে নতুন করে জল্পনা শুরু হলো শেষ পর্যন্ত বইমেলা দিনহাটায় না কোচবিহার কোথায় হতে যাচ্ছে। প্রাক্তন ও বর্তমান দুই মন্ত্রী দড়ি টানাটানিতে শেষ পর্যন্ত কোন এলাকায় বইমেলার শিকে ছেড়ে তা নিয়েও লেখক সাহিত্যিকরা রয়েছেন সেদিকে তাকিয়ে।