Deprecated: version_compare(): Passing null to parameter #2 ($version2) of type string is deprecated in /home/u517603494/domains/shinetv.in/public_html/wp-content/plugins/elementor/core/experiments/manager.php on line 129
ধূপগুড়ি শ্মশানের জমিদাতা ৪০ বছর পরেও অন্তরালে

ধূপগুড়ি শ্মশানের জমিদাতা ৪০ বছর পরেও অন্তরালে

ধূপগুড়ি শ্মশানের জমিদাতা ৪০ বছর পরেও অন্তরালে

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

ধূপগুড়ি শ্মশানের জমিদাতা ৪০ বছর পরেও অন্তরালে। ধূপগুড়ির পৌরসভার বর্তমানে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে দীর্ঘ ৪০ বছর আগে ২ কাঠা জমিতে তৈরি হয়েছিল ধূপগুড়ির শ্মশান।কালে কালে ছোট্ট সেই শ্মশান মহাশ্মশানে পরিণত হয়েছে।ভক্তিতে শক্তি জাগিয়ে একে একে গড়ে উঠেছে শিব,কালী,দুর্গা,হনুমান বিভিন্ন দেবদেবীর মন্দির।

 

সমাজের প্রয়োজনে এবং আধুনিকতার ছোঁয়ায় মহাশ্মশানে বর্তমানে বসানো হয়েছে বিদ্যুৎ চালিত দেহ সৎকারের যন্ত্র।দু কাঠা জমির বদলে প্রায় দুই বিঘা জায়গা জুড়ে তৈরি হয়েছে মন্দির এবং ইলেকট্রিক চুল্লি।তবে ৪০ বছর আগে মৌখিকভাবে ২ কাঠা জমি দিলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন মন্দির প্রতিষ্ঠিত হবার কারণে শ্মশানের অনেকটা জায়গা ব্যবহার করা হয়েছে।তবে এ বিষয়ে কোনো লিখিত চুক্তি পত্র না থাকলেও এতো জমি ব্যবহার করা হলেও সুরেশ দত্ত বা তাঁর পরিবার কোন দিন বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। বর্তমানের জমির মালিকানা সুরেশ দত্তের নামে থাকা সত্বেও সরকারি রেকর্ডে তা জনসারণের ব্যবহার্য হয়েছে,সরকারি হিসাব অনুযায়ী এই জমির আনুমানিক মূল্য প্রায় দু-কোটি টাকা।

 

কালের নিয়মে মন্দির আর ইলেক্ট্রিক চুল্লীর দেওয়ালের নিচে চাপা পড়ে গেছে স্বর্গীয় সুরেশ চন্দ্র দত্তের অবদান।দীর্ঘ চল্লিশ বছর পেরিয়ে গেলেও তার অবদান অন্তরালেই রইল।শ্মশান চত্বরে কোথাও নাম পর্যন্ত নেই সুরেশ চন্দ্র দত্তের।বেশকিছু দিন আগে ঘটা করে ধূপগুড়ি পৌরসভার উদ্যোগে ইলেকট্রিক চুল্লি বসানো হয়।উদ্বোধন করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।সুরেশ চন্দ্র দত্তের পরিবারের পক্ষ থেকে ইলেকট্রিক চুল্লিকে স্বর্গীয় সুরেশ চন্দ্র দত্তের নামে নামাঙ্কিত করার দাবি করেন।

আরও পড়ুন – কর্মীদের চাঙ্গা করতে মাঠে উদয়ন

এবং ধূপগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং এই বিষয়ে পৌরসভাতে একটি আবেদনপত্র জমা দেবার কথা বলেন।সেইমতো সুরেশ চন্দ্র দত্তের পরিবারের পক্ষ থেকে ইলেকট্রিক চুল্লি উদ্বোধনের আগে জুন মাসের ৫ তারিখে একটি আবেদনপত্র জমা দেন।সেই আবেদনের উত্তর আজ পর্যন্ত পাইনি বলে পরিবারের দাবি। এমনকি ইলেকট্রিক চুল্লি উদ্বোধনের আমন্ত্রণ পর্যন্ত করা হয়নি পরিবারের লোকজনকে।কবে সঠিক জায়গা পাবে শ্মশানের এই ভূমি দাতা ,প্রশ্ন তুলছেন শহরবাসী।

 

পরিবারের বক্তব্য “ধূপগুড়ি শ্মশানে গত পাঁচ বছরে যত উন্নতি হয়েছে তা আগে হয়নি,এই উন্নতিতে আমরা পৌরসভার সাথে থাকতে চাই,আমাদের কোনো বিষয়ে কোনো বাধা নেই,কিন্তু খারাপ লাগে যখন সুরেশ দত্ত এত বড় অবদান থাকা সত্বেও তার নাম কোথাও খুঁজে পাই না, ইলেকট্রিক চুল্লি উদ্বোধন হলো সুরেশ চন্দ্র দত্তের নাম একবার উচ্চারণ পর্যন্ত করা হলো না,এই বিষয়ে আমরা অপমানিত বোধ করেছি,আমরা আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি ধূপগুড়ি পৌরসভা আমাদের আবেদনের দিকটা মানবিকার সঙ্গে বিচার করুক এই আশা রাখছি”।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top