বারাসাতে জাতীয় সড়কের উপরে পর্দার আড়ালে চলছে জুয়ার বোর্ড,সর্বশান্ত নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সদর বারাসাত শহরের বুকে প্রকাশ্যে রমরমিয়ে চলছে চরকা, সাট্টা, জুয়ার বোর্ড এই বোর্ডটি চলছে বারাসাত জেলা হাসপাতালের মূল গেট এর ঠিক বিপরীতে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসের পাশে ৷ একদম ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কের ফুটপাতের উপর একটি দোকানে পর্দার আড়ালে রমরমিয়ে চলছে এই চরকা বোর্ড ,গোপন সূত্রে জানা গেছে এই জুয়ার বোর্ডের মালিকের নাম রাজিব আহমেদ ওরফে বাবু,এই বোর্ড টি বাদে বারাসাত শহর জুড়ে আরো চার,পাঁচটা জুয়ার বোর্ড চলে এই রাজিব আহমেদের ,
এই জুয়ার নেশায় সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে ভ্যান, টোটো,অটো চালক সহ বিভিন্ন নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত পরিবার। জুয়ার নেশায় সারাদিনের আয় চলে যাচ্ছে এই জুয়ার বোর্ডের মালিকের পকেটে৷ অন্যদিকে এই রাস্তার উপর দিয়েই সব সময় পুলিশের নজরদারি চলছে,এবার প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে,আবার এর পিছন দিকেই রয়েছে প্রশাসনিক দপ্তর থেকে প্রশাসনের একাধিক উচ্চপদস্থ অফিসারদের বাংলো। যেমন জেলা শাসকের দপ্তর,তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর জেলাশাসকের বাংলো,পুলিশ সুপারের বাংলো,অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বাংলো ।
তাহলে কি এই ঘটনা পুলিশ জানে ?নাকি জানেনা, না চাবি দেওয়া পুতুলের মত রাজনৈতিক নেতাদের চাবিতে চলছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে ? নাকি রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশের মিলিত মদতেই চলছে এই অসামাজিক কার্যকলাপ, জুয়া,সাট্যা,চরকা বোর্ড,এমনটাই অভিযোগ পথ চলতি সাধারণ মানুষের ৷ এ বিষয়ে বারাসাত পৌরসভার উপ পৌর প্রশাসক তাপস দাশগুপ্ত বলেন যে এই লোটো সাট্টা জুয়ার বোর্ড সম্বন্ধে তার কাছে খবর আছে তিনি জানেন বারাসাতের বিভিন্ন জায়গাতে এই মোটর বা চরকা বোর্ড চলছে সে ক্ষেত্রে উপ পৌর প্রশাসক বলেন যে আমরা পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বলব তারপর দেখা যাক পুলিশ প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয় পাশাপাশি তিনি বলেন যে আমরা বারাসাত পৌরসভার পক্ষ থেকে এটা দেখছি আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে অভিযান চালাবো
আরও পড়ুন – আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস
অভিযান চালিয়ে যে মোটর বোট গুলি চলছে আমরা সেগুলো কে বাজেয়াপ্ত করব এবং সে মেশিন গুলোকে আমরা তুলে নিয়ে আসব ইতিমধ্যেই আমাদের পৌরসভায় একটি মিটিং হয়েছে আমরা এই পদক্ষেপ গ্রহণ করব, পাশাপাশি বারাসাত বিজেপি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্র জানান এই যে জুয়ার বোর্ড চলছে এগুলো পুলিশ প্রশাসন ও শাসক দলের মদতেই চলছে পাশাপাশি তিনি এও জানান বেশ কিছুদিন আগে বারাসাত ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে একটি জুয়ার বোর্ড চলছিল, সেখানে প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করে,তার শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয় যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় ৷ তাপস মিত্র এই জুয়ার বোর্ড চলার জন্য পুলিশ প্রশাসন ও শাসক দলকেই দায়ী করছেন ৷