পোস্ত মুক্ত জেলা গড়তে ড্রোনে নজরদারি পুলিশের। পোস্ত মুক্ত জেলা গড়তে ড্রোনে নজরদারি চালাচ্ছে মালদহ জেলা পুলিশ। মালদহ জেলায় বেআইনি পোস্ত চাষ কে একদম নির্মূল করতে জেলা প্রশাসন এই বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।ইতিমধ্যেই জেলার বেশ কিছু অংশে ধারাবাহিকভাবে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। বেশ কিছু ধরপাকড় ইতিমধ্যেই হয়েছে।তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।এই উদ্দেশ্যে আবগারি দফতর, কৃষি দফতর এবং উদ্যানপালন দফতরকে একসাথে নিয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল গড়েছে মালদহ জেলা প্রশাসন।
পাশাপাশি জেলার পোস্তচাষের কেন্দ্র হিসাবে ৭টি থানা এলাকাকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছে বৈষ্ণবনগর, কালিয়াচক, মোথাবাড়ি, মানিকচক, রতুয়া, ইংরেজবাজার ও ভূতনি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,এইসব থানার অধীন এক বা একাধিক এলাকায় পোস্ত চাষের নজির রয়েছ।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পোস্তচাষের এলাকা চিহ্নিত করতে জিপিএস প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এলাকায় এলাকায় সার্ভে করা হচ্ছে। যেসব এলাকা দুর্গম বিশেষ করে ভূতনির চর, বৈষ্ণবনগরের গঙ্গার চর , সেখানে ড্রোনের সাহায্যে চলছে নজরদারি। আকাশপথে ফুটেজ সংগ্রহ করে সেগুলো সংরক্ষণের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন – কর্মীদের চাঙ্গা করতে মাঠে উদয়ন
এর পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে সাধারণ মানুষকে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন করে বিকল্প চাষে উত্সাহিত করার উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে ।বেশ কয়েকবছর আগে মালদহের বেশকিছু থানা এলাকায় রমরমিয়ে পোস্তচাষ চলছিল। পুলিশের বিশেষ অভিযানে এবং লাগাতার প্রচেষ্টায় এক্ষেত্রে কিছুটা হলেও রাশ টানা সম্ভব হয়েছিল। সেই সময় পুলিশ জানতে পারে, একশ্রেণীর মাদক ব্যবসায়ী নিজেদের স্বার্থে গরিব চাষিদের নগদ অর্থ দিয়ে একাধিক জমিতে অন্যান্য ফসলের পরিবর্তে পোস্ত চাষ করাচ্ছিল ।
বিশেষ করে , যেসব এলাকা দুর্গম ও সাধারণ মানুষের নজরের বাইরে থাকে সেই সমস্ত এলাকা পোস্তচাষের জন্য বেছে নিত এই মাদক ব্যবসায়ীরা। পুলিশ প্রশাসনের লাগাতার অভিযান, মাদকের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা প্রচারের মধ্যে দিয়ে এই বেআইনি পোস্তচাষে অনেকটাই লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।