গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার। প্রবল বৃষ্টিতে জল বাড়ছে বিভিন্ন নদীতে। আতঙ্কে দুই জেলার নীচু এলাকার বাসিন্দারা। প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত ত্রানের বন্দোবস্ত করা হয়েছে এছাড়া নদী বাঁধ গুলিতে জরুরী ভিত্তিতৈ মেরামতি এবং নিয়ম করে নজরদারি চলছে।
লাগাতার বর্ষনে বানভাসি হওয়ার ভয়ে তটস্থ ফালাকাটা ও কুমারগ্রাম। লাগাতার বর্ষনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ফালাকাটার যান চলালচল। ফালাকাটা আলিপুরদুয়ার সড়কের চর তোর্সা, বুড়ি তোর্সা ও সঞ্জয় নদীর ডাইভারসেনের উপর দিয়ে জল বইতে শুরু করেছে। সেই কারনে আলিপুরদুয়ার ফালাকাটা সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। আলিপুরদুয়ার ফালাকাটাগামি ছোট বড় সব যানবাহন সোনাপুর হয়ে ঘুরপথে ফালাকাটা যাতায়াত করছে। অন্যদিকে ফালাকাটা ধুপগুড়ির মাঝে বিরবিটি নদীতে ডাইভারসনে অস্থায়ী কালভার্ট ভেঙ্গে গেছে। আর সেই কারনে ফালাকাটা ধুপগুড়ি বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে।
আরও পড়ুন – নতুন রূপে সেজে উঠবে বকখালি. আগামী দিনে বকখালি পর্যটন কেন্দ্র নিয়ে একাধিক পরিকল্পনা
ফালাকাটা থেকে শিলিগুড়িগামি যানবাহন ফালাকাটা জটেশ্বর বীরপাড়া গয়েরকাটা হয়ে শিলিগুড়ি যাতায়াত করছে। অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টি এবং সেইসাথে ভুটান থেকে জল ছাড়ার কারণে ফুলেফেঁপে উঠছে উত্তরে নদীগুলি। ক্রমাগত জল বাড়ছে অসম বাংলা সীমান্তের সংকোশ নদীতে। অসমের কোকরাঝাড় জেলার গোঁসাইগাঁও সম্পূর্ণ জলমগ্ন। একই সাথে বাংলার জড়াই রামপুরা এলাকা জলমগ্ন। এখনো ঘরবাড়িতে জল না উঠলেও এলাকা থেকে জল সরছে না।
আসাম এর গোঁসাইগাঁও এবং বাংলার জোরাই রামপুর এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। বন্যা মোকাবেলায় নামানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর কে। রাস্তার উপর তাঁবু খাটিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকেই। রামপুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সুকেশ বর্মন জানান, লাগাতার পাঁচদিন ধরে বৃষ্টি চলছে। যার কারণে এই পরিস্থিতি। আসামের গোঁসাইগাঁও এর বাসিন্দা যদুনাথ ঠাকুর জানান, জল বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র নদীতে সব মিলিয়ে অবস্থা আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।