মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে ১০ মৃত পরিবারকে সরকারি সহায়তা প্রদান করলেন অরূপ বিশ্বাস। শীতলকুচির মৃত ১০ পুণ্যার্থীর পরিবারের পাশে দাঁড়ালো রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শীতলখুচি এসে মৃতদের পরিবারের হাতে দু লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এদিন সকালে শীতলকুচি বিডিও অফিসে এক শোক সভার মধ্য দিয়ে মৃত ১০ পুণ্যার্থীর পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন তিনি।
সেখানে তিনি ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান, সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ বর্মন, কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন সহ অন্যান্যরা। এদিন মৃত ১০ পুণ্যার্থীর পরিবারের হাতে চেক তুলে দিয়ে পরিবার গুলির পাশে থাকার আশ্বাস দেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, সমবেদনা জানাবার কোন ভাষা নেই। ঘটনাটি ঘটে রবিবার রাতে।
সেই ঘটনার কথা জানতে পেরে এই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোমবার সকালে তড়িঘড়ি আমাকে এখানে আসার নির্দেশ দেন। সে মতো সোমবার জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আহতদের দেখে এদিন এখানে এসেছি। নিহতদের পরিবারের হাতে দু লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। সন্তান হারানোর ব্যথা কোনভাবেই পূরণ করা যায় না। রাজ্য সরকার সব সময় পরিবারগুলোর পাশে রয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন তারা এই গোটা ঘটনার তদন্ত করছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন – বাড়িতে বোমা মজুদ রাখার অপরাধে গ্রেফতার যুবক
পাশাপাশি এদিন মৃত পরিবার গুলির বাড়িতে যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, অভিজিৎ দে ভৌমিক, গিরীন্দ্র নাথ বর্মন, জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। নেতাদের কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবারের সদস্যরা। একই সাথে পরিবারগুলিকে সমস্ত রকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন নেতৃত্বরা। রবীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ঘটনা যেদিন ঘটেছে তার পরদিন থেকে অর্থাৎ সোমবার থেকেই আমি একাধিক বার এদের বাড়িতে এসেছি।
সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই ঠিকই কিন্তু তাদের পাশে আমরা রয়েছি এই বিশ্বাস প্রদান করা বিশেষ প্রয়োজন। অপরদিকে অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, যারা এই দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছেন তারা সকলেই ছাত্র। কাজী তাদের এই মৃত্যুতে যুবসমাজের ও বেশ কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে শীতলকুচি এলাকায় এই কর্মসূচি শেষ করে তিনি শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।