রেল ক্রশিংয়ে মরণ ফাঁদ, শহরবাসী ফুঁশলেও হুঁশ নেই রেলের। এ যেন এক সাক্ষাৎ মৃত্যুপুরীর মধ্যে দিয়ে দিনরাত প্রান হাতে নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে রায়গঞ্জ বাসীকে। প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা, তবুও হুঁশ নেই রেলের। এমন ঘটনায় তীব্র ক্ষোভে ফুঁশছে শহরবাসী।
উত্তর ও দক্ষিণ হিসেবে রায়গঞ্জ শহরকে ভাগ করলে মাঝে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের রেললাইন পূর্ব পশ্চিমে প্রসারিত রয়েছে।
ফলে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং ১০ নম্বর রাজ্য সড়ককে আড়াআড়িভাবে কেটে রেলপথটি বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেছে। রায়গঞ্জের বাসিন্দা অলোক সরকার জানান, সম্প্রতি রেল মন্ত্রকের উদ্যোগে রেল ক্রশিংয়ের কাজ শুরু করবে বলে মাইকিং করে ট্র্যাফিক পুলিশ। কাজও শুরু হয় গভীর রাতে। শহরবাসীদের মতে, কাজ শুরু হলেও, ওই কাজ শেষ না হওয়ায়, ওই রাস্তা এখন মৃত্যু ফাঁদ হিসেবে রয়েছে। শহরের এক বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা স্কুটার চালিয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই মৃত্যু ফাঁদে আটকে পড়েন। পাথরের খাঁজে আটকে যায় স্কুটারের চাকা।
আরও পড়ুন – রাখি বন্ধনে কেমন কাটবে দিন, জানতে দেখুন আজকের রাশিফল
একই অবস্থা রায়গঞ্জের এক টোটোচালক প্রানতোষ দাসেরও। তিনি বলেন, প্রতিদিন অজস্র বার ওই রেল ক্রশিং পারাপার করতে হয়। কিন্তু সদ্য চালু হওয়া কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় ভীষণ বিপদজনক অবস্থায় পড়েছি। তিনি জানান, প্রতিদিনই হাই রোডের রেল ক্রশিং এবং শহরের ভেতরের রেল ক্রশিং পারাপার করতে বহু মানুষকে অসুবিধার পড়তে হচ্ছে। রায়গঞ্জ মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতনু বন্ধু লাহিড়ী বলেন, আমাদের ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারছে না।
হাই রোডের রেল ক্রশিংয়ের আশেপাশে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। একটা বড় বিপদ না হলে কি রেল মন্ত্রক কোনো পদক্ষেপ নেবে না, প্রশ্ন তোলেন তিনি। এরকম পরিস্থিতিতে, কাটিহার রেল সূত্রে জানা গেছে, রেলের এই কাজটি করছে বিভাগীয় পাবলিক ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্ট। তারা জানান, খুব শিগগিরই এই কাজ শেষ হবে। মাস খানেক আগে, এই কাজ শুরুর সময় মনে হয়েছিল, দ্রুত শেষ হবে এই কাজ। কিন্তু কাজ শেষ আশার বাণী রেল শোনালেও, কবে শেষ হয়, সেদিকেই তাকিয়ে সাধারণ মানুষ। রেল ক্রশিংয়ে