পাঁচ বছরের শিশুকন্যার উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। অভিযুক্ত নাবালককে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া এলাকায়। অভিযোগ গত ৩০শে জুলাই পাঁচ বছরের শিশু কন্যাকে বাড়িতে রেখে মাঠে কাজে গিয়েছিলেন তার বাবা ও মা। সে সময় বাড়িতে ওই শিশু কন্যাকে ঘরে ভেতর একাই রেখে যান তারা। ফিরে এসে দেখেন পাঁচ বছরের ওই এক রত্তি শিশু কন্যাটি প্রচন্ড কান্নাকাটি। অনর্গল কান্না থেকেই তার মা বুঝতে পারেন শরীরের কোথাও যন্ত্রনা থেকেই কেঁদে চলছে মেয়ে।
শিশুটির কাছে জানতে চাইলে তার শরীরের যন্ত্রনার কথা মাকে জানায় সে। আলত মুখে সদ্য ভাব প্রকাশের ভাষা শিখে ওঠা শিশুটি তার মা ও বাবার অনুপস্থিতিতে প্রতিবেশী নাবালক কিশোর বাড়িতে এসে তার সঙ্গে যে ভয়ঙ্কর আচরণ করেছে সে সমস্তটাই খুলে বলে সে। এরপরই উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশু কন্যাটিকে। সোমবার রাতে ফাঁসীদেওয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় অভিযুক্ত নাবালকের বিরুদ্ধে নির্যাতিতা শিশু কন্যটির পরিবারের তরফে।
আরও পড়ুন – প্রশাসনের ওপর ভরসা করলে হারাতে হবে সন্তানকে, সিপিএম
অভিযোগের ভিত্তিতে সবটা ফাঁসীদেওয়া থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে অভিযুক্ত নাবালককে(১৬-১৭)। মঙ্গলবার অভিযুক্ত নাবালককে জলপাইগুড়ি জুভেনাইলে পাঠানো হয়েছে। জুভেনাইল এক্টে সেখান থেকে দার্জিলিং একটি হোমের পৃথকভাবে হেফাজতে রাখা হয়েছে অভিযুক্ত কিশোরকে। মামলাটি জুর্ভেনাইল এক্টের আওতায় থাকায় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি পুলিশ কর্তারা।
পুলিশ সূত্রের খবর অভিযুক্ত নাবালকের বয়স ১৬-১৭এর মধ্যে। নাবালক বলেই দাবি পরিবারের। যদিও তার বয়সের সাক্ষেপে পর্যাপ্ত প্রমানপত্র এখনও পুলিশের হাতে এসে পৌঁছায়নি। দ্রুত অভিযুক্তের পরিবারকে নির্দিষ্ট প্রমাণপত্র পেশের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে শিশু কন্যাটির বর্তমানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। শিশুকন্যার উপর