শীতের শুরুতে বসল হস্তশিল্প মেলা। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর এই তিলোত্তমা শহর উত্সব মুখোর বাঙালিকে উত্সাহ দেওয়ার চিরকাল এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে। বইমেলা থেকে খাদ্য মেলা, পর্যটন মেলা থেকে হস্তশিল্প মেলা প্রতিবছরই এই সব ধরনের মেলা হয় কলকাতার বুকে। গত দু’বছর বছর করোনা আর লকডাউনের জন্যে কিছুটা ছন্দপতন হয়েছিল। এই বছর আবার পুরনো উদ্যামে শুরু গিয়েছে সব মেলা। ২৫ নভেম্বর ইকোপার্কে শুরু হয়ে গিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হস্তশিল্প মেলা’-২০২২।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী,বিধায়ক বিদেশ বোস, ,ক্ষুদ্র,ছোট মাঝারি ও বস্ত্র দপ্তরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের রাষ্ট্র মন্ত্রী তাজমুল হোসেন,দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। বিভিন্ন জেলা থেকে ৫০০০ হাজার হস্তশিল্পী এই মেলায় অংশ নিয়েছেন। ১৮ডিসেম্বর পর্যন্ত এই মেলা চলবে,দুপুর ১থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। রাজ্যের প্রায় সবক’টি জেলার হস্তশিল্পীরা এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন।
আরও পড়ুন – ফুটবলার রোনাল্ডোর দাম দেখুন কত
বিভিন্ন হস্তশিল্পের পশরা নিয়ে সাজানো হয়েছে দোকান। রং বেরংয়ের জিনিস নজর কাড়ছে দর্শকদের। ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় সাত হাজার স্টল নিয়ে শুরু হয়েছে এই মেলা। জেলার বিভিন্ন শিল্পীরা এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। নিজেদের হাতে তৈরি পণ্য এখানে তাঁরা বিক্রি করবেন। কোথাও বেতের বোনা ধামা-কুলো আবার কোথাও ঘর সাজানোর বাহারি জিনিস ক্রেতার চোখের সামনে নিমেষেই তৈরি করে দেন শিল্পীরা। ইদানিং শহুরে শৌখিন ক্রেতার পছন্দ অনুযায়ী ভোলবদলও ঘটেছে শিল্প সামগ্রীতে। হস্তশিল্প মেলায় যাঁরা অংশ নেন, তাঁরা সবাই জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা শিল্পীরা।
কেউ শোলার তৈরি বাহারি ফুল বানাচ্ছে কিংবা কেউ জঙ্গলমহলের টেরাকোটার কাজ করছে এই সব সামগ্রী শোভা বাড়াচ্ছে মেলার। রাজ্য সরকার পরিচালিত ইকোপার্কের এই হস্তশিল্প মেলা থেকে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের বাছাই হয়। এরপর দিল্লির জাতীয় মেলায় শিল্পীরা বাংলার গৌরব শিল্পকলা তুলে ধরেন এবং জাতীয় স্তরের স্বীকৃতি অর্জন করেন বাংলার বহু শিল্পী। এই লক্ষ্যে নিয়ে এই মেলার সূচনা করে রাজ্য স্তরের হস্তশিল্প মেলা। রাজ্য স্তরের এই মেলা শেষে বাছাই করা শিল্পীদের পরবর্তি গন্তব্য হবে দিল্লির জাতীয় হস্তশিল্প মেলা। শীতের শুরুতে