নির্বাচন সামনে বিজেপিতে দলবদলের হিড়িক। বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে। আর তার আগে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সব রাজনৈতিক দল। বাদ যাচ্ছে না কেউই। শাসক দল থেকে শুরু করে সব দলই এখন ব্যস্ত জনসংযোগ বাড়াতে। নিজেদের মতো করে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন সবাই। ছুটির দিন থেকে শুরু করে যে কোনও দিনই প্রচার করতে দেখা যায় তাঁদের।
আর এই পরিস্থিতির মধ্যেই জোর রাজনৈতিক লড়াই শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী শিবিরে। এই রাজনৈতিক লড়াইয়ের মধ্যেই বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরাল উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার বিধানসভার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার বিজেপি ও সিপিএম নেতা কর্মী যোগ দেন তৃণমূলে। বিজেপি সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে কংগ্রেসের দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন দলত্যাগী বিজেপি সিপিএম নেতা কর্মীরা। এদিন দলে যোগ দেওয়া কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা ফ্লাগ তুলে দেন উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজি।
প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, হাওড়া জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য, হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি দেবাশিস বন্দোপাধ্যায়, উলুবেড়িয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শেখ ইলিয়াস সহ অন্যরা। জেলায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির জনসভার দিনই ভাঙন কংগ্রেসে। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রায় আট শতাধিক কংগ্রেস কর্মী । এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই যোগদান সম্পন্ন হয়েছে। আর যোগদান কর্মসূচি থেকেই বিরোধীদের এক হাত নিলেন রাজ্যের মন্ত্রী।
আরও পড়ুন – বিয়ার নিয়ে বেচারা কাতার, মুসলিম রাষ্ট্রে খেলা আয়োজনে এবার ভাবতে হবে ফিফাকে
সন্ধ্যায় হরিশ্চন্দ্রপুর১ নম্বর ব্লকের দৌলত নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আমদোল ঘাট সহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি বুথ থেকে প্রায় ৮০০ কংগ্রেস কর্মী যোগ দেন তৃণমূলে। পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ সামাউনের নেতৃত্বে হয় এই যোগদান। যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন, জেলা পরিষদের শিশু নারী ও ত্রাণ কর্মাধক্ষ্য মর্জিনা খাতুন, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তবারক হোসেন চৌধুরী, প্রাক্তন সভাপতি হযরত আলি সহ অন্যরা। সামনে বিজেপিতে