টাটা এবার মেয়েদের প্রিয় কসমেটিকস এর দুনিয়ায়

টাটা এবার মেয়েদের প্রিয় কসমেটিকস এর দুনিয়ায়। ডি আর ডিওর সঙ্গে অস্ত্র প্রস্তুতের সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল। এবার টাটা কোম্পানি কসমেটিকসের জগতে প্রবেশ করতে চলেছে। সারাদেশে সংস্থাটি কুড়িটি বিউটি টেক স্টোর খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেইজন্য বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ডের সাথেও আলোচনায় রয়েছে তারা। শীঘ্রই এই মার্কেটে বেশ বড় আকারে প্রবেশ করবে রতন টাটার রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে ব্যক্তিগত পণ্যের বাজার দখল করতে বেশ বড় আকারে নামছে টাটারা। এই ক্ষেত্রে টাটাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে এলভি এম এচ এর ব্র্যান্ড সেফোরা এবং দেশীয় কোম্পানি নাইকা।

 

এই দুই মুখ্য ব্র্যান্ডের সাথে আরো অনেক আঞ্চলিক কোম্পানি টাটা গ্রুপের প্রতিদ্বন্দ্বীদেশের বিউটি এবং কসমেটিকসের বাজারের আয়তন ১৬ বিলিয়ন ডলার। এই ক্ষেত্র দখল করতে প্রথমে নামেন মুকেশ আম্বানি, সারাদেশে তার ৪০০টি বিউটি স্টোর খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী মাসেই মুম্বাইতে প্রথম স্টোর খুলবে রিলায়েন্স। টাটা কোম্পানি অবশ্য কিছুটা অন্য সেগমেন্টকে টার্গেট করেছে। টাটা কোম্পানির চোখ ১৮-৪৫ বয়সী তরুণ তরুণীদের।

আরও পড়ুন – বিয়ার নিয়ে বেচারা কাতার, মুসলিম রাষ্ট্রে খেলা আয়োজনে এবার ভাবতে হবে ফিফাকে

যারা বিভিন্ন বিদেশী ব্র্যান্ডের সামগ্রী ব্যবহার করে। আর এই কারণে টাটারা হাত মেলাতে পারি দ্য অনেস্ট কোম্পানি, এলিস ব্রুকলিন এবং গ্যালিনীর মতো বিদেশী কোম্পানির সাথে। শুধু তাই না, একইসাথে টাটারা তাদের বিভিন্ন স্টোরে নিজেদের পণ্য বিক্রি করার জন্য আলোচনা চালাচ্ছে দুই ডজনেরও বেশি সংস্থার সাথে।টাটাদের তরফে অবশ্য কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি এই নিয়ে। কিন্তু কয়েকদিন আগেই টাটারা তাদের বিউটি শপিং অ্যাপ, টাটা ক্লিক প্যালেট লঞ্চ করেছে। সেখানেও একচেটিয়া বিউটি পণ্য বিক্রি করবে তারা। টাটাদের বিউটি স্টোরের ৭০ শতাংশই পণ্যই হবে স্কিন কেয়ার ও মেকআপের।

 

যদিও এই প্রথম কোনো বিদেশি কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে না টাটা গ্রুপ। এর আগে জারা, স্টারবাকসের মতো বিশ্বখ্যত ব্র্যান্ডগুলির সাথে যৌথ উদ্যোগ রয়েছে তাদেরএখনো অবধি যা রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে তাতে মার্চ মাসের মধ্যেই টাটা গ্রুপ তাদের প্রথম বিউটি স্টোর খুলতে পারে। এই ক্ষেত্রে সবেচেয়ে আগে রয়েছে নায়ক। তারা ইতিমধ্যেই দেশব্যাপী ১২৪ টি স্টোর খুলেছে। আগামী বছরের মধ্যে আরো ৩০০টি স্টোর খুলতে চলেছে তারা। বছর প্রতি সাড়ে সাত শতাংশ গ্রোথ থাকার কারণে অনেকেই এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে চাইছেন।