সালিশি নিদানে আত্মঘাতী প্রেমিকা। সালিশি সভার নিদান মেনে নিতে না পেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যু তরুনীর। ঐ তরুণী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবী পরিবারের। উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘী থানার অন্তর্গত লাহুতাড়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাড় লাহুতাড়া গ্ৰামের ঘটনা। রেজিনা খাতুন নামে ওই তরুণীর সঙ্গে ডালখোলা থানা এলাকার যুবক হোসেন ইয়াজদিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়, প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে গ্ৰামে সালিশি সভা বসে , প্রেমিক হোসেন ইয়াজদিন সম্পর্ক অস্বীকার করে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
এবং তরুণী কে টাকা দিয়ে মিটমাট করার কথা বলেন, এতে তরুণী রাজি না হয়ে বাড়ি ফিরে বাড়ির পাশে একটি গাছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মারা যায়। পরে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। গ্ৰামের মাতব্বররা এক লক্ষ সত্তর হাজার টাকায় মিট মাট করানোর চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন – কর্মীদের চাঙ্গা করতে মাঠে উদয়ন
রেজিনা খাতুনের মৃত্যুর খবর পেয়ে ভিন্ন রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরে আসে তার ভাই। করণদিঘী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন গ্ৰামের মাতব্বরদের নামে। সালিশি সভায় উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সদস্য আবুল হোসেন ও স্থানীয় নেতারা , গলায় ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যু ধামাচাপা দিতে চাপ সৃষ্টি করেন সালিশি সভার মাতব্বররা, এমনই অভিযোগ করেন মৃত তরুনীর পরিবার, মৃতের পরিবার থেকে বলেন সালিশি সভায় চাপ সৃষ্টির জন্যই গলায় ফাঁস লাগিয়ে মারা যায় মেয়েটি।
পুরো ঘটনাটি নিয়ে করণদিঘী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার পরিবার, করণদিঘী থানার আইসি পলাশ মহন্ত বলেন পুরো ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে একজনকে আটক করা হয়েছে, তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। মৃত তরুনীর পরিবার থানায় অভিযোগ করেন হোসেন ইয়াজদিন, মহম্মদ হোসেন, হাবিব আলম, হুসেন আলি, মহির উদ্দিন , মুজিবুর ,মকবুল হকের বিরুদ্ধে। মৃতের পরিবার অভিযুক্তদের চরম শাস্তি দাবি করেন।। সালিশি নিদানে