হবিবপুরে ধরা পরল পূর্ণবয়স্ক সাড়ে ৯ফিট লম্বা কুমির। অবশেষে ধরা পরল কুমির। এর আগে ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল কুমির ধরা পড়েছে বলে কিন্তু সেটা আদৌ সঠিক নয়। সেখানে ঘড়িয়াল ধরা পড়েছিল বলে জানা গেছে। গতকাল বুধবার হবিবপুর ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কলাইবাড়ির পুনর্ভবা নদীতে কুমিরটিকে দেখা যায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। শয়ে শয়ে মানুষ নদীর পাড়ে আসেন কুমির দেখতে। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় হবিবপুর থানায়। হবিরপুর থানা খবর দেন গাজল বনদপ্তরের অফিসে। অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে বনদপ্তরের গাজল রেঞ্জের কর্মীদের তৎপরতায় ধরা পড়ে কুমির।
প্রসঙ্গত গত ১১ ই নভেম্বর এই কুমিরটিকে প্রথম দেখা গিয়েছিল কালিন্দী নদীর কাঞ্চনটোলা অঞ্চলে। এই কুমিরকে ঘিরে তখন সেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। গত ১৩ ই নভেম্বর ওই কুমিরটিকে পুরাতন মালদহের মোলপুরের কাছে মহানন্দা নদীতে দেখা যায়। পুরাতন মালদহের পর মালদহ শহরের বালুচর এলাকায় কুমিরটির হদিস মেলে। সেই সময় কুমিরটিকে দেখার জন্য শহরের বহু মানুষ বালুচরে নদীর পাড়ে ভিড় করেন। এই নিয়ে শহরে আতঙ্ক ও উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল।
তারপর থেকে কুমিরটির আর কোন হদিস পাওয়া যায়নি। অনেকে ভেবেছিলেন কুমিরটি হয়তো বাংলাদেশে চলে গেছে। কিন্তু না গতকাল কুমিরটিকে হবিবপুরে পুনর্ভবা নদীতে আবার দেখা যায়। সকালে মৎস্যজীবীরা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কুমিরটিকে দেখতে পান। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার বহু লোক জড়ো হন নদীর ঘাটে। উত্তেজনাও ও আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয় এলাকায়। সেখান থেকে বনদপ্তরের খবর দেওয়া হয়। বনদপ্তর এর গাজল রেঞ্জের আধিকারিক সুদর্শন সরকার বনদপ্তরের কর্মীদেরকে নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন।
আরও পড়ুন – মহার্ঘ্যভাতা অবিলম্বে প্রদানের দাবি তুলে শিলিগুড়ি মহকুমা শাসকের দফতরে অভিযান
স্থানীয়দের সহযোগিতায় মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে জাল নিয়ে তারা চেষ্টা করতে থাকেন কুমিরটিকে ধরার জন্য কিন্তু জাল ছিড়ে কুমিরটি দু-দুবার বেরিয়ে যায়। রাত হয়ে যাওয়ায় বুধবার দিন আর কুমিরটিকে ধরা সম্ভব হয়নি ।বৃহস্পতিবার সকালে আবার বনদপ্তরের কর্মীদের তৎপরতায় নতুন করে জাল দিয়ে ধরার চেষ্টা করা হয়। অবশেষে এদিন দুপুর নাগাদ কুমিরটি ধরা পড়ে।
কুমিরটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় আদিনার বনদপ্তরে। এ বিষয়ে সুদর্শন বাবু জানান, বুধবার সকালে আমরা এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের কাছ থেকে জানতে পারি যে কুমিরটিকে দেখা গিয়েছে। আমরা আমাদের কর্মীদেরকে নিয়ে সেখানে হাজির হই। বুধবার স্থানীয় মৎস্যজীবী ও এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় আমরা কুমিরটিকে ধরার চেষ্টা করি। কিন্তু আমাদের দু-দুবারের চেষ্টা বিফলে যায়। কুমির ঝাল ছিড়ে বেরিয়ে পড়ে। অবশেষে এদিন দুপুরে মোটা জাল পেতে ধরা হয় কুমিরটিকে।