ইদের প্রার্থনার সময় জেল থেকে পালাল ১৭ বন্দি, সংঘর্ষে মৃত ১ , ইদের (Eid) নমাজ পড়ার জন্য সকল বন্দিকে জেলের কুঠুরি থেকে বেরনোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই অনুমতি দিতেই ঘটল বিপত্তি। নমাজ পাঠের সুযোগ নিয়েই জেল ভেঙে পালাল ১৭ বন্দি (Prisoners)। জেল থেকে পালানো বন্দিদের আটকাতে বাধ্য় হয়ে গুলি চালায় জেলের নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই গুলিতে এক বন্দির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের (Pakistan) বালোচিস্তান প্রদেশের চমন জেলে।
বালোচিস্তানের জেলের ইন্সপেক্টর জেনারেল মালিক সুজা কাশি জানান, বৃহস্পতিবার ইদের প্রার্থনার সময় বেশ কয়েকজন বন্দি পালানোর চেষ্টা করে। সংঘর্ষ ও গুলিতে বেশ কয়েকজন বন্দি আহতও হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহ, ইদের প্রার্থনার জন্য জেল থেকে বেরতে দেওয়া হবে, এই খবর পেয়েই বন্দিরা আগে থেকে পালানোর পরিকল্পনা করেছিল। ব্যারাক থেকে তারা বেরতেই জেলের নিরাপত্তারক্ষীদের উপরে হামলা করে। বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ভয়ঙ্কর রূপ নেয় নিরাপত্তারক্ষী ও বন্দিদের সংঘর্ষ। নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে এক বন্দির মৃত্য়ু হয়। ১৭ জন বন্দি জেল থেকে পালিয়ে যায়। মনে করা হচ্ছে, বন্দিদের পালানোর জন্য বাইরে থেকেও সাহায্য করা হয়েছিল।যে সমস্ত বন্দিরা পালিয়ে গিয়েছে, তাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে বেশ কয়েকজন বন্দি সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
উল্লেখ্য, ইরানের সীমান্তবর্তী শহরে অবস্থিত চমন জেল। সেই কারণেই আশঙ্কা, বন্দিরা হয়তো সীমান্ত পার করে ইরানে পালিয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন – সরকারি চাকুরিজীবীদের বেতন বাড়ছে, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর। ৮ বছর পর বাড়তে চলেছে বেতন
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইদ-উল-আধার প্রার্থনার জন্য বন্দিদের জেলের কুঠুরি থেকে বের করে আনা হয়। কারাগারের ভিতরেই খোলা জায়গায় তাঁদের প্রার্থনা করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু বন্দিরা সেই সুযোগেরই ব্যবহার করে জেল থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। পালাতে গেলে পুলিশ ও জেলের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বন্দিদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। গুলিও চলে। শেষ অবধি ১৭ জন বন্দি জেল থেকে পালাতে সক্ষম হয়। বেশ কয়েকজন বন্দি আহতও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।