রোগীদের অ্যানাস্থেশিয়া দেওয়া হয়ে গিয়েছিল,কিন্তু, অপারেশন থিয়েটারেই ঘুমিয়ে পড়লেন ডাক্তার। নির্বীজকরণের অস্ত্রোপচারের জন্য নয়জন মহিলা রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। অস্ত্রোপচারের দিন সকালে রোগীদের অ্যানেস্থেশিয়াও দেওয়া হয়েছিল। ডাক্তারও হাসপাতালে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু, অস্ত্রোপচার করার কিছুক্ষণ আগে অপারেশন থিয়েটারের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়লেন তিনি। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় অস্ত্রোপচার করতে এসেছিলেন ওই ডাক্তার। মদের নেশাতেই আচমকা ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের চিক্কামাগালুরুতে।
এর আগে ২০২২ সালে, উত্তর প্রদেশের বারাবাঁকির এক মদ্যপ ডাক্তারের গাফিলতিতে এক দেড় বছরের মেয়ের মৃত্যু হয়েছিল। শিশুটির পরিবার জানিয়েছিল, তার গলায় ভুট্টা আটকে গিয়েছিল। এরপর তাকে সিরাউলি গাউসপুর এলাকার এক সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, যে চিকিৎসকের রাতে হাসপাতালে থাকার কথা ছিল, তিনি সেখানে ছিলেন না। এক ঘণ্টা পর, মদ্যপ অবস্থায় তিনি হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন। ওই অবস্থাতেই তিনি চিকিৎসা করতে যান। কিন্তু, শিশুটির মৃত্যু হয়।
অভিযুক্ত ওই ডাক্তারের নাম বালকৃষ্ণ। জানা গিয়েছে অস্ত্রোপচারের নির্ধারিত দিনে সকাল ৮টা নাগাদ অ্যানেস্থেশিয়া দেওয়া হয়েছিল অস্ত্রোপচারের জন্য ভর্তি হওয়া সকল রোগীকে। অস্ত্রোপচার করার কথা ছিল দুপুর ২টোয়। কিন্তু, তার ছিক আগে অপারেশন থিয়েটারেই আচমকা পড়ে যান ডা. বালকৃষ্ণ। তারপরই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। কোনও মহিলারই অস্ত্রোপচার করতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন – এখন তিহাড়েই থাকতে হবে, শুনানি স্থগিত অনুব্রতের, জামিন-আর্জি খারিজ হল সুকন্যার,
ঘটনাটি জানাজানি হতে বেশি দেরি হয়নি। আর তারপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীদের পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা অভিযুক্ত চিকিৎসক বালকৃষ্ণের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।মদ্যপ অবস্থায় অস্ত্রোপচার করতে গেলে, রোগীদের কী হত, এটা ভেবেই শিহরিত তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার চিন্তাভাবনা করছে বলে জানা গিয়েছে। আসলে মদ্যপ অবস্থায় হাসপাতালে আসার অভিযোগ বালকৃষ্ণের বিরুদ্ধে এর আগেও উঠেছে। তবে, হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাঁকে সতর্ক করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তাতে যে কাজ হয়নি সাম্প্রতিক ঘটনাই তার প্রমাণ। বারবার একই অপরাধ করে তিনি ছাড় পাবেন না বলেই আশা করা হচ্ছে।