কিন্ডারগার্টেনে হামলায় ,ছুরির কোপে রক্তাক্ত তারাও! মৃত ৬। কারোর বয়স দুই, কারোর আবার তিন। মুখে ঠিক করে বুলিও ফোটেনি, সেই খুদে খুদে পড়ুয়ারা মা-বাবার কোলে চেপে কিন্ডারগার্টেন স্কুলে গিয়েছিল। হঠাৎই হামলা চলল তাদের উপরে। এলোপাথাড়ি ছুরির আঘাতে (Stabbing) মৃত্যু হল ছয়জনের, গুরুতর আহত আরও একজন। ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে চিনের (China) দক্ষিণ-পূর্বের গুয়াংডং প্রদেশে। ইতিমধ্যেই হামলাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ২৫ বছর বয়সী এক যুবক আচমকাই স্কুলে ঢুকে পড়ে এবং উপস্থিত অভিভাবক, শিক্ষক ও খুদে পড়ুয়াদের উপরে হামলা করে। যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে একজন শিক্ষক, দুইজন অভিভাবক ও বাকি তিনজন পড়ুয়া। আহত হয়েছে আরও এক পড়ুয়া।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, ইচ্ছাকৃতভাবেই ওই হামলা চালানো হয়েছিল। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে জেরা করা হচ্ছে। যদিও হামলার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। মৃত পড়ুয়া ও অভিভাবকদের সঙ্গে যুবকের কোনও শত্রুতা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কড়া আইন ও নিরাপত্তা ব্য়বস্থার জন্য চিনে সহজে এই ধরনের অপরাধ ঘটে না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক ছুরি ও কুঠার নিয়ে হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছরও চিনের জিয়াংসি প্রদেশের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে হামলা হয়। ওই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয় ও ছয়জন আহত হন। ২০২২ সালেও কিন্ডারগার্টেনে হামলায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়, আহত হন ১৬ জন।
আরও পড়ুন – জল্পনা বাড়িয়ে আগেই CRPF-এর ডিজি-র সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপালের
বিবিসি নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার চিনের গুয়াংডং প্রদেশে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে হামলা চলে। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ২৫ বছর বয়সী এক যুবক আচমকাই স্কুলে ঢুকে পড়ে এবং উপস্থিত অভিভাবক, শিক্ষক ও খুদে পড়ুয়াদের উপরে হামলা করে। যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে একজন শিক্ষক, দুইজন অভিভাবক ও বাকি তিনজন পড়ুয়া। আহত হয়েছে আরও এক পড়ুয়া। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।