কলকাতায় মোট হকারের সংখ্যা কত? হকার সংগ্রাম কমিটি কী বলছে? দেশ জুড়ে মেট্রোপলিটন শহরগুলিতে হকারদের কারণে ক্রমশ বাড়তে থাকা সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে ৯ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৪ সালে মাঠে নেমেছিল খোদ সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময় দেশের সর্বোচ্চ আদালত সংসদকে সুপারিশ করে বলেছিল, এই হকার সমস্যা সমাধানে আইন তৈরি করা এবং তার প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেই মতো সংসদে আনা হয় ‘প্রটেকশন অব লাইভহুড এন্ড রেগুলেশন অব স্ট্রিট ভেন্ডিং’ বিল। একইসঙ্গে হকারদের স্বার্থরক্ষা এবং হকারজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে এই বিল পাস হয়ে যায়। সেই সময় নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, মেট্রোপলিটন শহরগুলিতে হকারদের সমীক্ষা করতে হবে। ২০১৪ সালের সেই নির্দেশ দেশের ৯০ শতাংশ শহর বাস্তবায়ন করতে পারলেও ব্যতিক্রম আমাদের কলকাতা। ৯ বছর কেটে ১০ বছরে পা দিয়েছে এই নির্দেশ। তারপরও আজ পর্যন্ত কলকাতার হকারদের (Hawkers in Kolkata) নিয়ে সামগ্রিকভাবে কোনও সমীক্ষাই করা হয়নি বলে খবর।
পুরনিগম সূত্রে খবর, ২০১৫ সালে আচমকাই মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন, কলকাতার ভেন্ডিং সার্টিফিকেট দেবেন। সেইমতো হকারদের জন্য আবেদনপত্র ছাড়া হয়। হকার সংগ্রাম কমিটির সূত্রে খবর, বেসরকারি হিসেব অনুযায়ী, প্রায় ২ লক্ষ আছে কলকাতায়। তার মধ্যে মাত্র ৫৮ হাজার হকার আবেদনপত্র তোলেন এবং তা জমা করেন। সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য হকারদের ২০০ টাকা করে দিতে হবে বলে জানা যাচ্ছে। এরপর পুনর্নবীকরণের জন্য প্রতিবছর ৩০০ টাকা করে দিতে হবে। অর্থাৎ মোট ৫০০ টাকা। তারপরও দেখা যায়, গত কয়েক মাসে ৫৮ হাজারের মধ্যে মাত্র ১৯ জনকে সার্টিফিকেট দেওয়া সম্ভবপর হয়েছে। তাই বাকিরা কবে পাবে সেটা এখন বড় প্রশ্ন।
আরও পড়ুন – মমতার ‘দুয়ারে’ কুড়মিরা, মমতার সঙ্গে বৈঠকে মিলল আশ্বাস,
এদিকে বছর দুয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হকার নিয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে তৎপর হওয়া নির্দেশ দিলে তারপর শুরু হয় বৈঠক। এরপর কলকাতার তিনটি বাজার – হাতিবাগান, নিউমার্কেট এবং গড়িয়াহাট হকারদের নিয়ে একটা সমীক্ষাও হয়। তারপর আর কোনও কাজ এগোয়নি বলে খবর।