মমতার ‘দুয়ারে’ কুড়মিরা, মমতার সঙ্গে বৈঠকে মিলল আশ্বাস,

মমতার ‘দুয়ারে’ কুড়মিরা, মমতার সঙ্গে বৈঠকে মিলল আশ্বাস, তিনদিনের সফরে ঝাড়গ্রামে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়গ্রাম জেলায় কুড়মি সমাজের একটি বড় অংশের বাস। সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও দেখা গিয়েছে পশ্চিমের জেলাগুলিতে যেসব জায়গা কুড়মি অধ্যুষিত, সেখানে বেশ বেগ পেতে হয়েছে রাজ্যের শাসক দলকে। বিভিন্ন জায়গায় নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন দিয়েছিল কুড়মি সমাজ। এমন অবস্থায় সোমবার ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিরা। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন তাঁরা। আর বৈঠকে বেশ আশ্বস্ত কুড়মিরা। কুড়মি সমাজের নেতা রাজেশ মাহাত বৈঠক শেষে জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় তাঁরা খুশি। তবে একইসঙ্গে জাতিসত্তার দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলতে থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। বলছেন, ‘আমরা কেন্দ্রের বা রাজ্যের শত্রু নই। আমরা আমাদের অধিকারের জন্য গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করছি।’

 

 

 

 

 

 

উল্লেখ্য, জঙ্গলমহলের বেশ কিছু জায়গায় বিগত দিনগুলিতে কুড়মিদের আন্দোলনকে হাতিয়ার করতে শুরু করেছে একাংশের মানুষ। কুড়মিদের আন্দোলন নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল। সেই প্রসঙ্গে রাজেশ মাহাত বলছেন, ‘যারা অশান্তি পাকাবে, তাদের বিষয়টি প্রশাসন দেখবে। এটা আমাদের মাথাব্যথা নয়। আমরা শান্তিপ্রিয় জাতি। আমরা সংবিধান মানি এবং শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন চালাব।’

 

 

 

আরও পড়ুন –   তুঘলক লেনের সেই সরকারি বাংলো ফিরে পাচ্ছেন রাহুল,

 

 

 

 

 

কুড়মি সমাজের মানুষজন দীর্ঘদিন ধরে যে তফসিলি উপজাতিভুক্ত হওয়ার দাবি তুলে আসছে, এদিন সেই কথাও মুখ্যমন্ত্রীকে জানান রাজেশ মাহাতরা। বলছেন, ‘আমাদের ৭৩ বছরের বঞ্চনার যাতে অবসান হয়, সেই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কুড়মিদের জাতিসত্তার দাবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ কুড়মিদের জাতিসত্তার দাবি যে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের ‘টালবাহানা’-র কারণে দেরি হচ্ছে, সেই অভিযোগও জানান তিনি। এই সমস্যার যাতে দ্রুত সমাধান হয়, সেই আর্জিও তাঁরা জানান মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। রাজেশ মাহাত জানাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রীও তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন। বলছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কুড়মিদের জন্য যা করেছেন, তার জন্য আমরা ওঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। এমন কাজ আগে কেউ করেননি।’