আগামী ২ রা অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে ধর্না কর্মসূচি পালন করার কথা রাজ্যের শাসক দলের। আর এবার দিল্লিতে শাসক দলের কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে ‘সাবধান’ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর কথায়, ”দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে, এটা যেন তৃণমূল মনে রাখে। দিল্লি পুলিশের কনস্টেবলদের হাতে থাকা লাঠির উচ্চতা ছয় ফুট। ১০ লক্ষ লোক যাওয়ার কথা, আমরা অপেক্ষা করছি।”
আরও পড়ুনঃ ”সংস্কারের জন্যই এই পদক্ষেপ, আমার ঘরও ভাঙা হবে,” দিলীপ-রাহুলের ‘ঘরছাড়া প্রসঙ্গে সুকান্ত
শুভেন্দু অধিকারী থেকে সুকান্ত মজুমদার, এ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির সব নেতারা বারবারই বলে আসছেন যে বাংলাকে কেন্দ্র কখনওই বঞ্চিত করেনি । আমরা টাকা বন্ধ করতেও বলিনি। তবে যতই তারা ( তৃণমূল) আন্দোলনের নামে নাটক করুক না কেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দের টাকার হিসেব যতক্ষণ না পর্যন্ত রাজ্য সরকার দেবে ততক্ষণ পর্যন্ত কেন্দ্র টাকা দেবে না। কেন্দ্র টাকা পাঠাবে আর সেই টাকার পুকুর চুরি হবে তা বিজেপি কখনওই বরদাস্ত করবে না। দিল্লি গিয়েও কোনও লাভ হবে না। বলাবাহুল্য, একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা আদায়ের দাবিতে দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় কর্মসূচি পালনে এবার কোমর বেঁধে নামছে তৃণমূল। দলের সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, পুরসভার চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলরদের দিল্লিতে পৌঁছনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, আগামী ২ অক্টোবর ধর্না কর্মসূচি পালিত হওয়ার কথা । ১০০ দিনের কাজের টাকা আদায়ের দাবিতে বহু আগেই দিল্লিতে এই ধর্না কর্মসূচি করার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । আগামী ২ অক্টোবর সেই কর্মসূচি পালন করতে চলেছে তৃণমূল । যদিও এখনও পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের বিষয়ে কোনও অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ । সোমবার সেকথা নিজেই জানিয়েছেন অভিষেক। আগামী ২ অক্টোবর সেই কর্মসূচি পালন করতে চলেছে তৃণমূল । যদিও এখনও পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের বিষয়ে কোনও অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ । সোমবার সেকথা নিজেই জানিয়েছেন অভিষেক। বলেছেন, ”আমরা বার বার আবেদন জানানো সত্ত্বেও দিল্লি পুলিশ ধর্না বিক্ষোভের অনুমতি দেয়নি।” বর্তমান পরিস্থিতিতে যেভাবেই হোক তারা কর্মসূচি পালন করবে বলে অনড় তৃণমূল। প্রয়োজনে যন্তর মন্তরে হলেও কর্মসূচি পালিত হবে। দলীয় কর্মীদের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।