”সংস্কারের জন্যই এই পদক্ষেপ, আমার ঘরও ভাঙা হবে,” দিলীপ-রাহুলের ‘ঘরছাড়া প্রসঙ্গে সুকান্ত

”সংস্কারের জন্যই এই পদক্ষেপ, আমার ঘরও ভাঙা হবে,” দিলীপ-রাহুলের ‘ঘরছাড়া প্রসঙ্গে সুকান্ত

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
''সংস্কারের জন্যই এই পদক্ষেপ, আমার ঘরও ভাঙা হবে," দিলীপ-রাহুলের 'ঘরছাড়া প্রসঙ্গে সুকান্ত

৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপির প্রধান কার্যালয়। এই অফিসের একতলায় দিলীপ-রাহুল দু’জনের জন্যই ঘর বরাদ্দ রয়েছে। আলাদা ঘর রয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরও। সেই ঘর থেকেই এবার ঘরছাড়া হতে চলেছেন দিলীপ-রাহুল। এমনটাই অভিযোগ জানিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন দলের সংখ্যালঘু মোর্চার প্রাক্তন সহ-সভাপতি শামসুর রহমান। আর এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

আরও পড়ুনঃ মহিলা সংরক্ষণ বিল রাজ্যসভায় পেশ হবে আজ

বিজেপির রাজ্য অফিস থেকে ঘরছাড়া দিলীপ- রাহুল! এ ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ”কাউকে ঘরছাড়া করার আমাদের কোনও উদ্দেশ্য নেই। সংস্কারের জন্য সব ঘরই ভাঙা হবে। আমার ঘরও ভাঙা হবে। ওখানে আইটি সেলের বিশেষ বিভাগ গড়ে তোলা হবে।”

 

প্রসঙ্গত, রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের নির্দেশেই ‘ঘরছাড়া’ হওয়ার পথে দলের দুই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং রাহুল সিনহা। এ নিয়ে জে পি নাড্ডার কাছে নালিশ জানিয়ে ইতিমধ্যেই ইমেল করেছেন রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার এক প্রাক্তন পদাধিকারী। যা নিয়ে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিজেপির অন্দরেই। দিলীপ ঘোষ এবং রাহুল সিনহা। দু’জনেই রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। দু’জনেই দলের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় নেতা। রাজ্য বিজেপির অফিসে সেই দু’জনেই ‘ঘরছাড়া’ !

 

মুরলিধর সেন লেনের নির্দিষ্ট ঘরে বসেই কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করতেন দিলীপ ঘোষ এবং রাহুল সিনহা। সেই ঘরই আর ব্যবহার করতে পারবেন না দিলীপ- রাহুল? বিজেপি সূত্রের খবর, গত শনিবার অফিসে যান দিলীপ ঘোষ। গিয়ে দেখেন তাঁর ঘরের বাতানকুল যন্ত্রের প্লাগ পয়েন্ট খোলা। যা নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশও করেন দিলীপ ঘোষ। সূত্রের এও খবর, ২ প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকেই ঘর ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে দুই নেতার ঘরই অন্য কাজে ব্যবহার করা হবে। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের নির্দেশই এমন সিদ্ধান্ত বলে দাবি বিজেপির এক নেতার।

 

দিলীপ ঘোষ দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সাংগঠনিক পদে থেকেছেন। প্রথমে রাজ্য সভাপতি। তারপর সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। তিনি রাজ্য সভাপতি থাকার সময়েই পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে ভালো ফল করেছে বিজেপি। এবার পঞ্চায়েত ভোট চলাকালীন সেই দিলীপকেই বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দিলীপের অনেক আগেই দলের আরেক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহারও কেন্দ্রীয় পদ চলে যায়। এবার দলের অফিসেই এক প্রকার ‘ঘরছাড়া’ হওয়ার পথে দিলীপ-রাহুল! এই খবর সামনে আসতেই তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। আর এর পরে পরেই এ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বললেন, ”সংস্কারের জন্যই এই পদক্ষেপ। আমার ঘরও ভাঙা হবে।”

en.wikipedia.org

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top